পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকল্প পদ্ধতির কথা ভাবছেন

আলমডাঙ্গার কায়েতপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০বছর পূর্তিতে সূর্বণ জয়ন্তী উৎসবে হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি

জামজামি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার কায়েতপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিদ্যালয় চত্বরকে নানা রঙে সাজানো হয়। বিদ্যালয় চত্বরে বসেছে নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা। বিদ্যালয় যেন ফিরে পেয়েছিলো নবযৌবন। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় বিদ্যালয় চত্বর থেকে বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে বিদ্যালয় চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর জাতীয় ও উৎসবের পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ) তরিকুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বাদল রশীদের স্ত্রী শরীফা রশীদ ও ডা. শাহেদা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ।
এসময় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত মান্নান, ব্যারিস্টার বাদল রশিদের সহধর্মীনী শরীফা রশিদ, বোন ডা. শাহেদা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু, খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুনু, ডাউকী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুজ্জামান, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক, জহির রায়হান আলম ও আলী হাসান আসকারীসহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রত্যন্ত এ এলাকা এক সময় অজপাড়াগাঁ হিসেবে পরিচিত ছিলো। সর্বত্র দেখা যেত মেটে দেঁয়াল খড়ের ছাউনি ঘর, কাচা রাস্তা-ঘাট চলাচলে কি যে দুর্দশা ছিলো এলাকাবাসীর। অথচ আজ সেই অজপাড়াগাঁয়ে সারি সারি পাঁকা ঘর-বাড়ি, পাঁকা রাস্তায় সুখের চলাচল। আওয়ামী সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া ও শিক্ষার আলোয় আজ উদ্ভাসিত। সুশিক্ষিত একটি জাতি নিজের ও দেশের উন্নয়ন ঘটাতে পারে-এটাই উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। আমি মুগ্ধ হচ্ছিলাম এ স্কুল থেকে শিক্ষায় আলোকিতদের কৃতি ব্যক্তিত্বদের স্মৃতিচারণ শুনে। মরহুম ব্যারিস্টার বাদল রশিদ এ গ্রামেই জন্মেছিলেন। তিনি জীবিত থাকাকালীন তার হাতে গড়া এ কায়েতপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি শিক্ষা বিস্তারে অগ্রগামী ছিলো। আজ অনগ্রসর? সেই শিক্ষকদের অনেকেই বিগত -সুশিক্ষা আজ শিক্ষা বাণিজ্য আর প্রশ্নপত্র ফাঁসচক্রের শিকার। তাই কোচিং বাণিজ্য বন্ধ ও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকল্প পরীক্ষা পদ্ধতির কথা ভাবছেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
প্রসঙ্গত: ১৯৬৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রামদিয়া গ্রামের কৃতিসন্তান সাবেক সংসদ সদস্য বাংলাদেশ কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ব্যারিস্টার বাদল রশীদ কায়েতপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময় থেকে বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে শিক্ষার মানোন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার উন্নয়নে।

Leave a comment