আড়াই লাখ টাকার বাজেট নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা মশা নিধনে নামছে আজ

গত গরমের ভয় এবার আগেভাগেই ছড়াচ্ছে আতঙ্ক : শীত যেতে না যেতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার: আড়াই লাখ টাকার বাজেট নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে মশক নিধনে নামছে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। চুয়াডাঙ্গায় এবার শীত যেতে না যেতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ যখন পৌরবাসী তখন মশা নিধনের খবর কী? প্রশ্ন তুলতেই চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একরামুল হক মুক্তা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, মশা মারার ফকার মেশিন ও হ্যান্ড মেশিন নিয়ে তিনটি দল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কাজ শুরু করবে। প্রথম দিনে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের আশেপাশেসহ মাথাভাঙ্গা সড়ক পর্যন্ত মশক নিধনের প্রাথমিক প্রস্তুতি রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য সম্মত করে তোলা সম্ভব হয়নি। কিছু এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা শুধু ঢাকনাবিহীনই নয়, ড্রেনের নিচে পানি জমে পয়ঃনিষ্কাশনের বদলে ওই নালায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা মশার লার্ভা উৎপাদনের কারখানায় রূপান্তর হয়েছে। এছাড়া কিছু বাড়ি ঘর রয়েছে যেখানে বসবাসকারীদের মধ্যে অসচেতনতার কারণেও মশা ডিমপাড়ার জায়গা পায়। লার্ভা জন্মে। এর মধ্যে কিছু স্থানে ডেঙ্গু মশারও কারখানা রয়েছে। গতবছর গরমের শেষভাগে চুয়াডাঙ্গায় বেশ ক’জনের শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু ধরা পড়ে। কয়েকজনের অকাল মৃত্যু হলেও শেষ পর্যন্ত তা ডেঙ্গু কিনা তা নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের তরফেও রাখা হয়েছে ধোয়াশা। এবার গরম শুরু হতে না হতে যেমন বিদ্যুতের লোডশেডিঙের ভয়াবহ পুর্বাভাস মিলতে শুরু করেছে, তেমনই মশার উৎপাতে ডেঙ্গুর আতঙ্কও ছড়াচ্ছে নানাভাবে। ফলে প্রতিকারের আশায় অনেকেই মশা নিধনে প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষে পদস্থ কর্তাদের দৃষ্টিগোচরের লক্ষ্যে পত্র পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে আসছেন। গতকাল চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় এ বিষয়ে তথ্য নিতে গেলে জানা যায়, মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী রয়েছেন চিল্লায়। ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা। মশা নিধনের জন্য সুপারভাইজার হিসেবে কর্তব্যরত জুবায়ের হোসেন। পৌর সচিব বলেন ‘২০১৬-১৭ অর্থ বছরের মতো এবারও অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থ বছরেও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মশা নিধনের বাজেট বরাদ্দ রয়েছে আড়াই লাখ টাকা। কয়েকদিন ধরেই মশা নিধনের কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’ মশা নিধনের সুপারভাইজার জুবায়ের হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় ডিজিটাল মেলাসহ কিছু ব্যস্ততার কারণে মশা নিধন শুরু করা হয়নি। দু একদিনের মধ্যেই মশা মারার কাজ শুরু হবে।
গতরাতে সেলফোনে ভারপ্রাপ্ত মেয়র একরামুল হক মুক্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আর বিলম্ব নয়। বৃহস্পতিবার তথা এক মার্চ থেকেই মশা নিধনের কাজ শুরু করা হবে। প্রথমে পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকসহ সরকারি দফতরের পাশাপাশি স্টেশন এলাকায় মশা নিধন করা হবে। ৪টি ফকার মেশিন ও ৫টি হ্যান্ড মেশিন রয়েছে। মেশিনগুলো দিয়ে আমরা মশা নিধনে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবো।