চুয়াডাঙ্গা দীননাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক
স্টাফ রিপোর্টার: একটি শিশুকে ঠিকমতো খাওয়ান। তাকে না খাওয়ালে তার কাছ থেকে ভালো রেজাল্ট আসা করবেন কিভাবে। অনেক শিশু আছে যাদের ঠিকমতো খাবার আনার সামর্থ থাকে না। তাই তোমরা যারা এই স্কুলে পড় তারা সবাই খাবার আনার সময় একটু বেশি করে নিয়ে আসবে। যে শিশুটি খাবার আনেনি তাকে সাথে নিয়ে ভাগাভাগী করে খাও। কথাগুলো বলেছেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। গতকাল রোববার দুপুরে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দীননাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে আরও বলেন, তোমরা প্রতিদিন স্কুলে আসবে। ভালোভাবে লেখাপড়া করবে। ভালো রেজাল্ট করলে সুনাম শুধু তোমাদের হবে না। এ সুনাম তোমার স্কুলসহ পরিবার ও গোটা এলাকার। এসময় তিনি অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, শিশুরা কোমলমতি। একটি শিশু বেশি ওজন বহন করলে তার কষ্ট হবে। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে ব্যবহারের জন্য যে বই আনার প্রয়োজন সেটাই আনতে হবে। সেজন্য প্রতিদিন তাদের ব্যাগ চেক করবেন। গতকাল রোববার দুপুর ১টায় দীননাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সদর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে, সদর উপজেলা পরিষদ ও জীবনতরী যুব সঙ্ঘের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোমিন উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াশীমুল বারী, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপপরিচালক মাসুম আহমেদ, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষক আবুল ফজল মঈনুল আহসান পলাশ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সোহাগ শেখ ও শ্রী বিশ্বজিত কুমার সাহাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে বিদ্যালয়ের ১৯৮জন শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ ও টিফিন বক্স দেয়া হয়। বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরির জন্য দীননাথপুর জীবনতরী যুব সঙ্ঘের পক্ষ থেকে ক্লাবের সভাপতি বিল্লাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম জেলা প্রশাসকের হাতে ৩ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার পরিবেশন করে মিড ডে মিলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ফেরার পথে জেলা প্রশাসক জীবনতরী যুব সঙ্ঘের অফিস পরিদর্শণ করেন। সেখানে তিনি কিছু সময় বসেন এবং জীবনতরী যুব সঙ্ঘের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ভালো কাজের পরামর্শ ও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।