এবারের স্লোগান ‘অশনিগুলো হোক আনন্দধ্বনি’

উদ্বোধনের অপেক্ষায় অনির্বাণ একুশে নাট্যমেলা ২০১৮

দর্শনা অফিস: ভাষার মাস ২১-২৮ ফেব্রুয়ারি অনির্বাণ থিয়েটার আয়োজনে একুশে নাট্যমেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দর্শনা ছোট্ট এই শহরটি আন্তর্জাতিক রেলপথ, কেরু চিনিকলের জন্য যেমন দেশব্যাপী পরিচিত, তেমনি এই ছোট্ট শহরটি থিয়েটারের জন্যও দেশব্যাপী পরিচিত। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে থিয়েটার নিয়ে যে পথচলা ১৯৯০ সালে এসে অনির্বাণ থিয়েটারের উৎসব আয়োজন শুরু করেছিলো যা ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের খ্যাতনামা সকল নাট্যদল তাদের দর্শকপ্রিয় নাটক নিয়ে অনির্বাণ থিয়েটারের আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছে। ২০১৭ থেকে দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশি নাটকও প্রদর্শিত হচ্ছে নাট্যমেলায়। এবছর ৮ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে নাট্যমেলা। মেলার শুরু ২১ ফেব্রুয়ারি হলেও নাট্যমেলার উদ্বোধন হবে ২২ ফেব্রুয়ারি, ২২-২৭ ফেব্রুয়ারি ৬ দিনে দেশ ও ভারতের ছয়টি নাটক প্রদর্শিত হবে। নাট্যমেলার প্রথম দিন ২২ ফেব্রুয়ারি অনির্বাণ থিয়েটারের নতুন প্রযোজনা রবীন্দ্রনাথের হিং টিং ছটৃ কবিতা অবলম্বনে ‘হিং টিং ছটৃ’ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে। ২৩ ফেব্রুয়ারি সংলাপ গ্রুপ থিয়েটার, ঢাকা পরিবেশন করবে নাটক ‘বোধ’, ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকুরিয়া নাট্যমুখের পরিবেশনা নাটক ‘জিয়ন কন্যা’, ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুশীলন, রাজশাহীর নাটক: ম্যাওসংকেত্তন, ২৫ ফেব্রুয়ারি নাটক ‘বিষ তর্পণে বিসর্জন’ পরিবেশন করবে রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ূধ, কোলকাতা এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি নাটক ‘রূপ সুন্দরী’ পরিবেশন করবে নাট্যলোক, সিরাজগঞ্জ। একুশে নাট্যমেলা শিরোনামে উৎসব আয়োজন হলেও উৎসবে প্রতিদিন বিকেলে স্কুল ও কলেজের পরিবেশনায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যায় বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় গুণীজনেরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন এবং নাটক পরবর্তীতে বসবে গানের আসর। অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন আনোয়ার হোসেন বলেন, মেলার উদ্দেশ্য হচ্ছে অনকে মানুষকে একত্র করা, আমাদের উদ্দেশ্য নাটক দেখতে আসুন একত্র হই, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিল্পসৃষ্টির স্বাদ গ্রহণ করি। সেই সাথে আমাদের স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজনশীল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করি, অনেক গুণী শিল্পীদের সঙ্গীতের স্বাদ আর আলোচক হিসেবে অনেক গুণী জনেরা থাকবেন তাদের অভিজ্ঞতার সাথে নিজেকে মেলে ধরি। বাঙালি উৎসব প্রিয় জাতি-সকলের উপস্থিতিতেই উৎসব রাঙা হয়ে উঠতে পারে।