হেরেও ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ত্রিদেশীয় টোয়েন্টি টোয়েন্টি সিরিজে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ২ রানে হেরেও টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। লিগ পর্বের ৪ ম্যাচে অংশ নিয়ে ১টি করে জয়ে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। তবে ইংলিশদের চেয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে ফাইনালের টিকেট পায় কিউইরা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। লিগ পর্বের চার ম্যাচের সবগুলোতেই জয় পেয়েছে অসিরা।

হ্যামিল্টনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। ব্যাট হাতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। ২৪ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারায় তারা। জেসন রয় ২১ ও অ্যালেক্স হেলস ১ রান করে ফিরেন। এরপর দলের হাল ধরে স্কোরবোর্ডে ৯৩ রান যোগ করেন ডেভিড মালান ও অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। দু’জনে জুটিতে ৫৫ বল মোকাবেলা করেন। এরমধ্যে ৫৩ রান অবদান রেখে ফিরে যান মালান। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ম্যাচে ৩৬ বল মোকাবেলায় ২ চার ও ৫ ছক্কায় চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পান মালান।

মালানের পর হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন মরগানও। এক প্রান্ত আগলে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেছেন তিনি। নিজের ৭২তম ম্যাচে নবম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন মরগান। তার ৪৬ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা ছিলো। তাই মরগানের বড় ইনিংসের কল্যাণে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৫০ রানে ৩টি উইকেট নেন বাঁ-হাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।

জয়ের ১৯৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে এবারও উড়ন্ত সূচনা করে নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো ৩৯ বল মোকাবেলা করে ৭৮ রানের জুটি গড়েন। নামের পাশে ৫৭ রানে ফিরেন মুনরো। ২৯ মিনিট ক্রিজে থেকে মাত্র ২১ বল মোকাবেলায় নিজের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায়। মুনরো যেখানে সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান, সেখানে ১৪তম অর্ধশতক করেছেন গাপটিল। তবে দলের জয় থেকে ৩১ রান দূরে থাকতে আউট তিনি। তখনও ম্যাচের ২১ বল বাকি ছিলো। কিন্তু পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা দলের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। খুব কাছাকাছি গিয়েও ম্যাচ হারতে হয় স্বাগতিকদের। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে শেষ পর্যন্ত ১৯২ রান পর্যন্ত যেতে পারে নিউজিল্যান্ড। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৭ বলে ৬২ রান করেন গাপটিল। এছাড়া অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৮, রস টেইলর-কলিন গ্র্যান্ডহোম ৭ রান করে আউট হন। ৩০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে দলের হার এড়াতে পারেননি মার্ক চাপম্যান। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের মরগান।