এসএসসি পরীক্ষার ফাঁস হওয়া কোনো কোনো বিষয়ের প্রশ্ন মিলেছে হুবহু

স্টাফ রিপোর্টার: এসএসসি পরীক্ষায় কিছু বিষয়ে আংশিক ও কোনো বিষয়ে পুরোপুরি প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে গঠিত কমিটি। এখন এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের নমুনা এবং কতোক্ষণ আগে ফাঁস হয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে বলা হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে ২৫ ফেব্রুয়ারি কমিটির পরবর্তী সভায় পরীক্ষা বাতিল হবে কি না, সে বিষয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে।

গতকাল রোববার  বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয় যাচাই-বাছাই কমিটির দ্বিতীয় সভা। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিভিন্ন তথ্য জানান যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর।

এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, উদাহরণ স্বরূপ অঙ্কের পরীক্ষায় দেখেছেন ফেসবুকে তারা (প্রশ্ন ফাঁসকারী) বলেছে চার সেট প্রশ্নই ফাঁস করেছে। কিন্তু কমিটি দেখেছেন একটাও মেলেনি। আবার ইংরেজিতে কিছু মিল পেয়েছেন। এজন্য আরও দেখা হবে।
তখন সাংবাদিকেরা জানতে চান, তার মানে কি এ পর্যন্ত কমিটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পায়নি? জবাবে সচিব বলেন, ‘পাবো না কেন? কিছু তো আংশিক আছে, কিছু পুরোপুরি আছে।’ তখন সাংবাদিকেরা আবার জানতে চান, এটা কি সাজেশন মনে করেছেন? তখন সচিব বলেন, ‘না, কিছু তো হুবহু মিলেছ। সেটাকে কেন সাজেশন মনে করবো?’ তবে সচিব কোনো বিষয় তার নাম বলেননি।

পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, যদি দেখা যায় যে কোনো প্রশ্ন হুবহু মিলে গেছে, যদি অবজেকটিভ (এমসিকিউ) টাইপের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে থাকে, তাহলে বাকিটার (প্রশ্নপত্রের সৃজনশীল অংশ) পরীক্ষা নতুন করে নেয়া হবে না, শুধু অবজেকটিভের জন্য পরীক্ষা হবে। যদি পরীক্ষা চলার এক-দুই ঘণ্টার আগে বা তিন ঘণ্টা আগে বা আগের দিন যদি ফাঁস হয়ে থাকে। আর যদি দেখা যায়, পরীক্ষা চলাকালীন ফাঁস হয়েছে বা আধা ঘণ্টা আগে, তখন তো পরীক্ষার্থীরা ঢুকে গেছে। তখন হয়তো ৫০০ ছেলে-মেয়ে এর সঙ্গে জড়িত, এ জন্য তো ২০ লাখ ছেলে-মেয়ের পরীক্ষা বাতিল করা ঠিক হবে না। এতে আরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে কষ্ট দেয়া হবে।

সচিব বলেন, এগুলো তাদের পর্যবেক্ষণ। সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে ২৫ তারিখের সভায়। পরে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি বলেন, গতকাল আংশিক তথ্য পাওয়ায় সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি। সব তথ্য দেয়া হলে সব বিষয়ে আলাদা আলাদা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, কী প্রস্তাব করা হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। প্রথম দু’দিনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরকে প্রধান করে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়।