জীবননগরে ধর্ষক জুয়েল ও সিরাজুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারক প্রেমিক তার দু বন্ধুকে সাথে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণ ও থানায় মামলা দায়েরের দুদিন পার হলেও পুলিশ পলাতক দু’ধর্ষক জুয়েল ও সিরাজুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ গতকাল ধর্ষিত তরুণীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর) সার্কেল মো. কলিমুল্লাহ। তিনি নিজে এ মামলার তদন্ত করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় গতকাল সারাদিনই ধর্ষিতার বাড়িতে মিডিয়াকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল কলিমুল্লাহ মামলাটি নিজে তদন্ত করবেন বলে দায়িত্ব নিয়েছেন। আটক আরিফকে বুধবার চুয়াডাঙ্গা সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। অভিযুক্ত অন্য দু’ধর্ষক জুয়েল ও সিরাজুলকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এলাকাবাসী ও ধর্ষিতর পরিবার সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের রাখালশাহ পাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে কৃষি শ্রমিক আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৫) একই উপজেলার নতুন তেঁতুলিয়া গ্রামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত রোববার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা দিয়ে তরুণীটি বাড়ি ফেরে। ওইদিন বিকেলে প্রেমিক আরিফ দেখা করার কথা বলে মোবাইলে তাকে ডেকে নেয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করার পর তারা খয়েরহুদা মাঠপাড়ায় যায়। সেখানে একটি ভুট্টাক্ষেতে পূর্ব থেকেই তার দু’বন্ধু কলেজছাত্র জুয়েল (২৩) ও সিরাজুল (২৮) পরিকল্পনা মোতাবেক ওঁত পেতে বসেছিলো। জুয়েল আলীপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আজিল হোসেনের ছেলে ও সিরাজুল দেওয়ান আব্দুর রশিদ দেওয়ানের ছেলে। আরিফ তাকে নিয়ে ভূট্টাক্ষেতে পৌঁছুলে জুয়েল ও সিরাজুল জোরপুর্বক তাকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে স্থির চিত্র ও ভিডিও’র মাধ্যমে ধারণ করে রাখে। পরে প্রতারক প্রেমিক আরিফও তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার কথা ফাঁস করলে ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় ধর্ষক দল।