পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে

চুয়াডাঙ্গায় আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জেলা পর্যায়ে আন্ত:প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদমারী) মাঠ ও ঝিনুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জিয়াদ্দীন আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, আজকের শিশুই আগামীদিনের ভবিষ্যত। সুতরাং ভবিষ্যত নাগরিকদের যথাযথভাবে গড়ে তুলতে তাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা রাষ্ট্র, অভিভাবক তথা সমাজ সকলকেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে দরকার তার মানসিক বিকাশ। কেবলমাত্র পড়াশোনা দিয়ে শিশুদের সঠিক মানসিক বিকাশ ঘটে না। তার শিক্ষাজীবনকে উপভোগ্য করে তুলতে হবে। এ উপভোগ্য করে তোলার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে তার খেলাধুলার ব্যবস্থা করা। ভুলে গেলে চলবে না খেলার মাধ্যমেই শিশুর মানসিক বিকাশ হয়। শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিক মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সমাজের অনেক বাবা-মা কেবলমাত্র ক্লাসের বইয়েই নিজেদের শিশুকে মগ্ন রাখতে চান। এর ফলে স্কুলে হয়তো বা ভালো ফল করা যায়, কিন্তু ছেলে-মেয়েদের যথার্থ মানসিক বিকাশ ঘটে না। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে।
জেলা প্রশাসক জিয়াদ্দীন আরও বলেন, শুধু বিজয়ী হওয়ার আশায় খেলাধুলা করলে চলবে না। খেলাধুলা মানসিক বিকাশ ঘটায়। খেলাধুলা করলে বিজয়ী হতে পারোনি তাতে কি, চেষ্টা করো আগামীতে ভালো করার। তিনি মায়েদের জন্য বলেন, আপনার সন্তানকে বিশেষভাবে নজর দিন। তাদের সঠিকভাবে পরিচালনা করুন যেন আগামীতে শুধু জেলায় না জাতীয় পর্যায়ে আপনার সন্তান ভালো কিছু করতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের তালে জাতীয় এবং ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করা হয়। আলোচনা পর্বের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন চুয়াডাঙ্গা মুসলিমপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহেদ এবং গীতা পাঠ করেন ধুতুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার গোশ্বামী। প্রতিযোগিতায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক মিলে ২টা গ্রুপে বিভক্ত করে ৩০টি ইভেন্টে মোট ১২০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলন সহকারী কমিশনার স্নিগ্ধা দাস, সহকারী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দীকুর রহমান, বাংলাদেশ স্কাউটসের চুয়াডাঙ্গা জেলার সম্পাদক আব্দুল হান্নান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বণিক বিষয়ক সম্পাদক হাবিল হোসেন জোয়ার্দ্দার প্রমুখ। অনুষ্ঠানটির সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন কুশোডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন ঝিনুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুস সালাম।