নিজ দায়িত্বে অপসারণ না করায় শিগগিরই হতে পারে উচ্ছেদ অভিযান

চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল সড়কে অবৈধ স্থাপনা সরানোর নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল রোডে ৩১টি অবৈধ স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় মাস খানেক আগে চিহ্নিত করে অবৈধ স্থাপনাকারীদের নোটিশও দেয়া হয়েছে। নোটিশে নিজ দায়িত্বে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হলেও অনেকই এখনও তা মানেননি। এদিকে ডা. আকমান হোসেন তার স্থাপনা অবৈধ না দাবি করে পুনরায় মাপার জন্য আবেদন করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যানজটমুক্তসহ শোভাবর্ধন করার জন্য শহরের রাস্তার চারপাশের অবৈধ স্থাপনা শুরু করেছে বেশ কিছুদিন ধরেই। তারই ধারাবাহিকতায় মাস খানেক আগে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল রোডের ৩১টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেন। এগুলো হলো ইছাহাক আলীর আংশিক টিন শেড ও অন্যান্য আধাপাক স্থাপনা, তরিকুল ইসলাম, মধু মিয়ার আংশিক হেরিং বোন ব-, টিন শেড ও অন্যান্য আধাপাকা স্থাপনা, রেজাউল করিমের আমিন ফার্মেসির আংশিক হেরিং বোন ব-, টিন শেড ও অন্যান্য আধাপাকা স্থাপনা, তামিম/মুক্তা মিয়ার আংশিক হেরিং বোন ব-, টিন শেড ও অন্যান্য আধাপাকা স্থাপনা, তানভীর আহম্মদের মতিন ফার্মেসিসহ অন্যান্য আংশিক হেরিং বোন ব-, সোহেল রানার সিয়াম ফার্মেসির আংশিক পাকা সান শেড, ডা. মেহেদী হাসান মাহাবুবের সিটি মেডিকেল ৩টি দোকাসেন আংশিক দোকানের সামনের অংশ, ডা. নুপুরের আংশিক পাকা পাচিল, শামীমের পাকা আংশিক সান শেড ও পাকা পাচিল, নাজমুলের অপটিক ল্যা-ের সিড়ি অপসারণ, বিপুল ভবনের আংশিক, ডা. আকমান মেডিকেলের আংশিক পাকা পাচিল, আব্দুর রহমানের ভবনের আংশিক পাকা সান শেড, রুহুল আমিনের ভবনের সিড়ির আংশিক, সহিদুল মোল্লার ভবনের আংশিক পাকা পাচিল, নাজাতুর রহমান হোমিং আরোগ্য নিকেতনের আংশিক পাকা সান শেড, আব্দুল মান্নানের নাজ বিল্ডিঙের পুরাতন হেলথ এইডের আংশিক পাকা পাঁচিল, হেলথ হোমের আংশিক, দি সানরাইজ ভিউয়ের আংশিক, ডা. এমবি আজমের ভবনের আংশিক, ডা. জিন্নাতুল আরার ভবনের আংশিক পাকা সিড়ি, বকুলের আংশিক সান শেড, মিয়াজুল হকের আশাদুল স্টোরের আংশিক সান শেড, শহিদুল ইসলামের মায়ের আচলের আংশিক সান শেড, কামরুল হকের আংশিক সান শেড, খন্দকার ইকবাল হোসেনের ভবনের আংশিক সান শেড, হুমায়ন মিয়ার ভবনের আংশিক সান শেড ও সিড়ি, মাসুদ, রাজু, খোরশেদের কাঠের দোকানের আংশিক। এ অবৈধ স্থাপনাকারী মাস খানেক আগে নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে অনেকেই এখনও পর্যন্ত সরায়নি। এদিকে ডা. আকমান হোসেন তার স্থাপনা অবৈধ না দাবি করে জেলা প্রশাসনের নিকট ৯ জানুয়ারি পুনরায় মেপে নির্ধারণ করার জন্য আবেদন করেছে।