রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দণ্ডিত শামীম কারাগারে

দুটি মামলায় কারাদণ্ডের পরও দুটি মামলা বিচারাধীন : আরও একটি মামলার প্রস্তুতি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার দায়ে দণ্ডিত আসামি শামীম হোসেনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতপরশু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। অপরদিকে, একের পর এক ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত দুটি মামলায় কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হলেও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নানা প্রশ্ন দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় বাদলপাড়ার আবু তালেব তালুর ছেলে শামীম হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। কিছুদিন পিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি তিতুদহের এক ব্যক্তিকে চাকরি দেয়ার কথা বলে তিতুদহের এখলাসের নিকট থেকে টাকা নেন। ৯০ হাজার টাকা নেয়ার পর চাকরি দেয়া দূরের কথা টাকা ফেরত না দিয়ে দিনের পর দিন ঘোরাতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের তথা সরকারি চেক দেন। ওই চেকে টাকা না পেয়ে এখলাস প্রতারণার অভিযোগ তুলে টাকা ফেরত পাওয়ার লক্ষ্যে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। মামলা চলছে। এছাড়াও দৌলাতদিয়াড়ের মারুফ হোসেনের চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে তাও দেয়নি। ওর মা ছবিলা খাতুন মামলা দায়ের করেছেন। ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরতের আশায় দায়ের করা মামলাটিও বিচারাধীন। এছাড়াও আতিক নামের একজন সহকারী শিক্ষকও ওই শামীমের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে বুজরুকগড়গড়ির আব্দুল মতিন ও চুয়াডাঙ্গার ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার নজির হোসনের দায়ের করা মামলায় ১৫ দিন ও ৩০দিন করে কারাদ-াদেশসহ তাদের পাওনা মোট ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এ মামলার রায়ের দিন হাজিরা দিলেও রায়ের পূর্বে সরে পড়েন আসামি শামীম হোসেন। ফলে তাকে পলাতক দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালত রায় প্রদান করেন। রায়ের ককেদিনের মাথায় গতপরশু সোমবার শামীম হোসেন জরিমানার অর্ধেক টাকা তথা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে জামিনের আবেদনসহ আত্মসমর্পণ করেন। বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। ফলে তাকে কারাগারে নেয়া হয়। অপরদিকে কারাদ-াদেশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে জানা গেছে, গত প্রায় এক বছর ধরে শামীমের বিরুদ্ধে ৪টি মামলায় আদালতে হাজির হতে হয়েছে ১৬দিন। অথচ বিদ্যালয় থেকে নৈমিত্তিক ছুটি নিয়েছেন তিনদিন। একদিন ছিলো বিদ্যালয়ের ছুটির দিন। বাকি ১২দিন আদালতেও হাজির থেকেছেন আবার বিদ্যালয়েও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। কীভাবে সম্ভব? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ফলে এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি দেয়া দরকার বলে মন্তব্য অনেকের।