দেশি টুকরো

তরঙ্গ নিলাম থেকে সরকারের আয় ৫২৮৯ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার: ফোরজি তরঙ্গের নিলাম এবং তরঙ্গের প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার সুবিধা বিক্রি করে সরকার ৫ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা আয় করেছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা ক্লাবে তরঙ্গের নিলামের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি বলেন, নিলামে অংশ নিয়ে মোবাইলফোন অপারেটর বাংলালিংক ও গ্রামীণফোন মোট ৩ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকায় ১৫.৬ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়েছে। এর মধ্যে বাংলালিংক ১০.৬ মেগাহার্টজ আর গ্রামীণফোন ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়েছে। এছাড়া টু জি ও থ্রি জি সেবার জন্য বরাদ্দ করা তরঙ্গে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা দিয়ে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির কাছ থেকে সরকার পেয়েছে ১ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। এর সাথে ১০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।

দেশের চারটি অপারেটর ফোরজি তরঙ্গ নিলামে থাকার আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত নিলামে অংশ নিয়েছে শুধু গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। আর বন্ধ হয়ে যাওয়া অপারেটর সিটিসেল নিলামে অংশ না নেয়ায় তাদের পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভবনা আর থাকলো না। এছাড়া দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপারেটর রবি তাদের হাতে থাকা তরঙ্গ প্রযুক্তি নিরপেক্ষতায় রূপান্তর করে ফোরজি সেবা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে।

যে ছবি কেড়ে নিচ্ছে সবার দৃষ্টি

স্টাফ রিপোর্টার: নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। কর্মস্থলে তো তাদের সরব উপস্থিতি আছেই। একই সাথে গাড়ি চালানো থেকে নিয়ে মোটরসাইকেলও ড্রাইভ করছেন। গতকাল মঙ্গলবার এমনই এক চিত্র দেখা গেল রাজধানীর শাহবাগ এলাকায়। ইতোমধ্যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। কারণ গতকাল ১ ফাল্গুন। বসন্তের প্রথম দিন দেশব্যাপী নানা আয়োজনে দিনটিকে পালন করেন সকলে। নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী বাসন্তী রঙের পোশাকে বসন্তকে বরণ করন। আজও জাতীয় জাদুঘরের সামনে তেমনটি দেখা যায়। কিন্তু এক জায়গায় এসে চোখ আটকে যায়।

এক তরুণী নিজের স্কুটি নিয়ে জ্যামে আটকে আছেন। যে কারো চোখ সেদিকে চলে যাবে, যাচ্ছেও তাই। কারণ তরুণী বসন্ত সাজে এসেছেন। সেটাও বিষয় নয়, বিষয়টা হলো শাড়ি পরে স্কুটি চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয় শাড়িটি বাসন্তী রঙের। তবে এরচেয়ে মুখ্য বিষয় হলো তরুণীর স্কুটিও বাসন্তী রঙের। তাই স্বাভাবিকভাবে দৃষ্টি সরছে না কারো।

ননক্যাডারে ১ম ২য় শ্রেণির পদ মাত্র ৭৮৭

স্টাফ রিপোর্টার: ৩৬তম বিসিএসে নন-ক্যাডার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ কর্মকমিশন (পিএসসি)। এই বিসিএসে নন-ক্যাডারের জন্য অপেক্ষমাণ ৩ হাজার ৩০৮ জনের বিপরীতে পিএসসি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদ পেয়েছে মাত্র ৭৮৭টি। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বাইরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগে পিএসসির কাছে যে পরিমাণ চাহিদা এসেছে, সেখানে উত্তীর্ণ সবাইকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়া যাবে। যদিও বিসিএসে উত্তীর্ণদের প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নিতে অনীহা আছে। কেননা, এই পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির বলা হলেও এখনো শিক্ষকেরা বেতন পান ১১ ও ১২তম গ্রেডে। ৩৬তম বিসিএসে ২ হাজার ৩২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া উত্তীর্ণ ৩ হাজার ৩০৮ জনকে নন–ক্যাডারে রাখা হয়। পিএসসি নন–ক্যাডারে নিয়োগ দিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে শূন্য পদ চেয়ে চিঠি পাঠায়। এতে বেশ কিছু সাড়া পেয়েছে পিএসসি। প্রথম শ্রেণির পদে ৪২২টি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৩৬৫ টিসহ মোট ৭৮৭টি শূন্য পদ পেয়েছে পিএসসি। আর প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদ রয়েছে কয়েক হাজার।

সোনালী ব্যাংকে ২২০১ জনকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা নেই

স্টাফ রিপোর্টার: দুই বছর আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের তিনটি পদে দুই হাজার ২০১ জনকে নিয়োগের ওপর থেকে স্থিতাবস্থা তুলে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চাকরি প্রত্যাশীদের করা পৃথক পাঁচটি লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

এই আদেশের ফলে ২ হাজার ২০১টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও অফিসার ক্যাশ পদে নিয়োগের জন্য তিনটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। যেখানে পদ সংখ্যা ছিলো দুই হাজার ২০১।

পরে ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ৪৭৪ চাকরি প্রত্যাশী। তারা ২০১৪ সালে ৩১ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকে এক হাজার ৭০৭টি পদে নিয়োগের জন্য দেয়া সার্কুলারের ভিত্তিতে আবেদনকারী।

রিট আবেদনে ওই বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া পরীক্ষায় অভ্যন্তরীণ তালিকায় তাদের নাম রয়েছে বলে দাবি করেন তারা। তাই রিটকারীরা ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তাদের নিয়োগের আরজি জানান।