ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধীর প্রসূত মৃত সন্তানের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

ভিসেরা ও ডিএনএ রিপোর্টের প্রত্যশায় নমুনা সংগ্রহ
স্টাফ রিপোর্টার: ধর্ষণের শিকার বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীর প্রসব করা মৃত সন্তানের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। তদন্তের ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পরীক্ষাগারে প্রয়োজনীয় নমুনা প্রেরণের পাশাপাশি অভিযুক্ত ধর্ষক ডিশ ক্যবল ব্যবসায়ী আলমের সাথে ওই সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনাও সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফলে প্রতবন্ধীর প্রসূত সন্তানের প্রকৃত মৃত্যু এবং সন্তানের পিতা কি সত্যিই কি ওই আলম? তা পরীক্ষার মাধ্যমে অনেকটা জানা সম্ভব হবে।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার জয়রামপুর মল্লিকপাড়ার নূর নবীর ছেলে ডিশক্যাবল ব্যবসায়ী দু সন্তানের জনক আলম তার প্রতিবেশী প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে বন্দি রয়েছেন। অপরদিকে ধর্ষণের শিকার হয়ে প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। গতপরশু সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সিজার করে সন্তান প্রসবের প্রাথমিক প্রস্তুতি নেয়া হলেও পরবর্তিতে জানা যায় সন্তান গর্ভেই মারা গেছে। ফলে অস্ত্রোপচার থেকে বিরত থাকেন চিকিৎসক। পরশু রাত ৯টার দিকে ভুমিষ্ঠ হয় মৃত সন্তান। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ডা. হুসনে জারি তাহমিনা আঁখি, ডা. শামীম কবির ও ডা. তারিক হাসান শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড ময়নাতদন্ত করেন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষার নমূনাসমূহ সংগ্রহ করেন। ইতোমধ্যেই তা ঢাকায় প্রেরণের প্রক্রিয়া করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী প্রসূতিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। রক্তক্ষরণের কারণে এক ব্যাগ রক্তও দিতে হয়েছে। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন, প্রসূতির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হতে পারে।