গাংনীতে কর্মসূচি পালন করতে পারছে না বিএনপি

গাংনী প্রতিনিধি: দলীয় প্রধান কারাগারে থাকলেও গাংনীতে মাঠে নেই বিএনপি। গ্রেফতার আতঙ্কে অনেকেই এখন আত্মগোপনে। কেন্দ্রীয় কমিটি দু’দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। পুলিশি নজরদারি ও বাধার কারণে রাজপথে কর্মসূচি পালন করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার পুর্বনির্ধারিত দিনে আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে গাংনীতে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করি। কিন্তু এর দু’দিন আগে থেকে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বেশ কয়েকজন কর্মী আটক হয়। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে সামনের সারির নেতাদের অনেকেই গাঢাকা দেয়।
রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়াকে কারাগারে দিয়ে সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, রায় ঘোষণার দিন ও পরদিন বামন্দী এলাকায় নেতাকর্মীদের জড়ো করে প্রতিবাদ জানানোর চেষ্টা করি। তখন থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপকভাবে বাধা দেয়া হয়। মোবাইলে কল করে সাংগঠনিক নেতাকর্মীদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়। কেন্দ্র থেকে তো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে। তাহলে কেন আমাদের মাঠে নামতে দেয়া হচ্ছে না।
পুলিশ সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে অভিযোগ করে জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে জনগণের নেত্রীকে আটকে রাখা যাবে না। গণতন্ত্রের পথও রুদ্ধ করা যায় না। গণতন্ত্রকামী মানুষ অবশ্যই প্রতিবাদ করবে। সকল চক্রান্ত জনরোষের ঢেউয়ে ভেসে যাবে। নেত্রীর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচি পালন করারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় মেহেরপুর জেলাতে বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এবার তাই আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে পুলিশ। যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে জেলা পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশের পাশাপাশি মাঠে ছিলো ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বাধীন বিজিবি দল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছাড়াও এ উপজেলার কয়েকটি চিহ্নিত স্থানে পুলিশি কঠোর টহল দেখা যায়। শুক্র ও শনিবার কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপি কর্মসূচির দু’দিনেও পুলিশে কঠোর নজরদারি ও টহল ছিলো।
আন্দোলন প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, আমরা কখনও সহিংস কর্মসূচি দিইনি। এবার কেন্দ্র থেকে যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে তাতে সহিংস ঘটনা ঘটার কোনো কারণ তো দেখি না। আমাদের নেত্রী আজ কারাগারে। আমাদের প্রতিবাদটুকু করার অধিকার নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না। সকল রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়ার দাবি করেন তিনি।