স্ত্রীর মৃত্যুর সাড়ে ৭ মাস পর শাশুড়ির কাছে মালামাল ও টাকা দাবি

স্টাফ রিপোটার: স্ত্রীর মৃত্যুর সাড়ে ৭ মাস পর শাশুড়ির কাছে মালামাল ও টাকা পাওনা আছে দাবি করে ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে স্বামী পক্ষ। যে স্ত্রীয় যৌতুক দাবি ও এনজিও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে স্বামীর নির্যাতনে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়। সেই স্বামী এখন মালামাল ও টাকা পাওনা দাবি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের অভিযোগ দেয়ায় নতুন করে ফুসে উঠেছে গ্রামবাসী।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর মোড়ের মৃত সামসুল হকের মেয়ে রজনী খাতুনের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী ঝোড়াঘাটা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে রিপন আলীর সাথে। বিয়ের পর থেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকান বড় করা ও মোটরসাইকেল কেনার তাগিদ দিয়ে নিয়মিত যৌতুক দাবি করে নির্যাতন করে আসছিলো। বিধবা শাশুড়ি অনুপায় হয়ে এনজিও থেকে ২ লক্ষ টাকা ঋণ তুলে দেয় মেয়ের সুখের আশায়। তাতেও মন ভরে না জামায় রিপন আলীর আরও যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের মাত্রা বাড়াতে থাকলে বিয়ের ৫ মাসের মাথায় ৩ মে ২০১৭ স্বামীর নির্যাতন সয়তে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করে রজনী খাতুন। ৪ মে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি কয়রাডাঙ্গায় দাফন সম্পন্ন করা হয় তার।
এদিকে গত কয়েকদিন আগে ঝোড়াঘাটা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে রিপন আলী আলুকদিয়া ইউনিয়নে একটি লিখিত অভিযোগে শ্বশুর কুলের আত্মীয় স্বজনের কাছে একটি ল্যাপটপ ও ২ লক্ষ টাকাসহ সোনার গয়না দাবি করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রিপনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে ভালাইপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা শান্তি বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে উভয়পক্ষের সাথে নিয়ে আলোচনা করে বুঝতে পারি রিপন আলী একটি ল্যাপটপ ও ১৫ হাজার টাকা পাবে এবং মৃত রজনীরা একটি ফ্রিজসহ সোনার কিছু গয়না পাবে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে মৃত রজনী খাতুনের অসহায় বিধবা মা গুলনাহার আরও বলেন, আমরা যদি তাদের দাবি না মানি তাহলে আমিসহ আমার আত্মীয়-স্বজনকে প্রকাশ্য মারধরের হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে রিপন আলীর সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।