চুয়াডাঙ্গায় গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে বিমুখ হচ্ছে চাষিরা: দুশ্চিন্তায় কারখানা মালিকরা

শ্রমিক সঙ্কট ও বিভিন্ন বাড়তি ঝামেলার অভিযোগ : হ্রাস পাচ্ছে উৎপাদন ও হচ্ছে আর্থিক ক্ষতি
খাইরুজ্জামান সেতু: শ্রমিক সঙ্কট ও বিভিন্ন বাড়তি ঝামেলার কারণে দিন দিন গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে চাষিরা। এতে আর্থিক ক্ষতি ও উৎপাদনও হ্রাস পাচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তারা। এদিকে গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে মুখ ফিরিয়ে নেয়াই দুশ্চিন্তা ভর করেছে চাষিদের মাঝে। অপরদিকে চাষিদের গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা কৃষি বিভাগ।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রথম ইউএসএইড’র অর্থায়নে ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় জেলার বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে বেশ কয়েক বছর আগে জেলাতেই গুটি ইউরিয়া উৎপাদন করে কৃষকদের মাঝে বিক্রি শুরু হয়। ইউএসএইড’র প্রজেক্ট শেষ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালে জুন মাসে ভূতুর্কি দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে জেলার ৪ উপজেলাতে উৎপাদনের জন্য ২৮টি কারখানা তৈরি করে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৫টি, দামুড়হুদা উপজেলাতে ৮টি, জীবননগর উপজেলাতে ৩টি ও আলমডাঙ্গা উপজেলাতে ১২টি। প্রথম দিকে কৃষকরা ভালো ফলন হওয়ায় গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু যতদিন যায় ততই গুটি ইউরিয়া ব্যবহার কমাতে শুরু করে চাষিরা। বর্তমানে কারখানা চালু আছে জেলার ৪ উপজেলায় ১৫টি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৫টি ও জীবননগর উপজেলায় ৩টি চালু আছে। দামুড়হুদা উপজেলাতে ৪টি চালু আছে। আলমডাঙ্গা উপজেলাতে ৩টি চালু আছে আর ৩টি মাঝে মধ্যে চলে আবার বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে চাষিরা জানান, গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে ফলন ভালো হয়। কিন্তু প্রয়োগ করা বাড়তি ঝামেলা হওয়ায় শ্রমিকরা প্রয়োগে অনীহা প্রকাশ করে। এ বিষয়ে সার বিক্রেতারা জানান, প্রথম দিকে প্রচুর চাহিদা ছিলো। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে তত চাহিদা কমছে। কারখানা মালিকরা জানান, ক্ষেতে গুটি ইউরিয়া গ্রয়োগে চাষিদের অনীহা কেনো? তার কারণ শ্রমিক সঙ্কট ও বিভিন্ন বাড়তি ঝামেলার কারণে অনীহা প্রকাশ করছে চাষিরা। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক নাঈম আস সাকিব ক্ষেতে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার কমেছে স্বীকার করে জানান, আমি নতুন এসেছি, খুব শীঘ্রই ক্ষেতে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করার জন্য চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করবো। কারণ গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে ক্ষেতের ফলন ভালো হয়। আর শ্রমিক সঙ্কট ও বাড়তি ঝামেলার বিষয়ে তিনি বলেন, চাষিরা সার ব্যবহার জানে না। এটা তাদের শেখানো হবে। আর ব্যবহারের জন্য মেশিন আছে এ মেশিন ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।