তিনটি অবৈধ ইটভাটা মালিকের প্রায় পৌঁনে ২ লাখ টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের বিশেষ নজর এবার অবৈধ ইটভাটার দিকে : জীবননগর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত

দমকলের পানি দিয়ে নেভানো হলো গঙ্গাদাসপুরের অবৈধ ইটভাটার আগুন
স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর উপজেলার দেহাটি ও গঙ্গাদাসপুরের তিনটি অবৈধ ইটভাটা মালিককে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অর্থদ-াদেশ দেন। ব্যারেল কেটে টিনের চিমনি দিয়ে এবং লাইসেন্স ছাড়াই ইট প্রস্তুত ও পোড়ানোর অপরাধে অর্থদ-াদেশের সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ভাটার আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জরিমানার অর্থ সাথে সাথে আদায় হয়েছে। আদায়কৃত অর্থ ইতোমধ্যেই সরকারের নির্ধারিত কোষাগারে জমা প্রদানের কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন আদালতসূত্র। গতপরশু এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বেঞ্চ সহকারী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল হক।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দেহাটির নিউ ব্রিক্স ফিল্ডে লাইসেন্স ছাড়াই জাহাঙ্গীর আলম ইট প্রস্তুত ও পুড়িয়ে আসছিলেন। চিমনিও ব্যারেল কাটা টিনের। ফলে জাহাঙ্গীর আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকায় একইভাবে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানোর অপরাধে দেহাটির আলিফুল হকেরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ২০১৩ সালের ৪ ধারায় এ দ-াদেশ দেন। এছাড়া জীবননগরের গঙ্গাদাসপুরের ভাই ভাই ইটভাটায় টিনের চিমনি দিয়ে লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধ প্রচুর পরিমাণ ইট প্রস্তুত ও কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর দায়ে এ ভাটা মালিকের পক্ষে ম্যানেজার মেদেনীপুরের মফিজ উদ্দীনকে ৭০ হাজার টাকা অর্থদ-াদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানার টাকা সাথে সাথে আদায় হয়। অবৈধভাবে ইট পোড়ানোর কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের খবর দিয়ে দমকলের পানি মেরে ইটভাটার আগুন নেভানো হয়।