চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম নাসির

মেহেরপুর অফিস: চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম নাসির। গত মঙ্গলবার স্টোকে আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকা নেয়ার পথে জরুরিভাবে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯ টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪২ বছর।
ওই রাতে তাকে মেহেরপুর শহরের সরকারি কলেজপাড়াস্থ বাড়িতে নেয়া হয়। গতকাল বুধবার বেলা ১০টায় সরকারি কলেজমাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি, মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ মো. জয়নাল আবেদীন, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. গোলাম রসুল, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, আওয়ামী লীগ নেতা এমএএস ইমন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান, যুগ্মআহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, মুজিবনগর উপজেলার যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাঁদু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, বর্তমান সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী এবং মরহুমের আত্মীয় স্বজনরা। এরপর বাদজোহর মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের গোপালপুর ঈদগা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে গোপালপুর গ্রাম্যকবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
বিএম নাসির ছিলেন মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত নকিবউদ্দিন বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে। ৫ বোনের একমাত্র ভাই বিএম নাসির ১৯৯০ সালের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে মেহেরপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন। এ সময় তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি মেহেরপুর সরকারি কলেজে একজন দাপুটে ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। তিনি সরকারি কলেজ সংসদে এজিএস ছিলেন। ততোদিনে তিনি মেহেরপুর সরকারি কলেজপাড়ায় নতুন জমি কিনে বাড়ি তৈরি করে বাস করতে থাকেন। ২০০০ সালে তিনি মেহেরপুর শহরের হোটেলবাজার এলাকায় বিয়ে করেন। তার স্ত্রী উর্মি মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সংসার জীবনে তাদের সংসারে দু’জন পুত্রসন্তান জন্ম নিয়েছে। লেখাপাড়া শিখলেও তিনি চাকরি না করে বাবার ব্যবসা দেখাশুনা করতেন এবং নিজেও একজন বীজ ব্যবসায়ী ছিলেন। বিএম নাসির অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। ন্যায়ের পক্ষে সমর্থনকারী আপন গৌরবে গৌরবদীপ্ত বিএম নাসির মুজিবনগর উপজেলা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বলা চলে মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।