চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পল্লি অঞ্চলের মানুষ : বাড়ছে অপচিকিৎসা

চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ : চাকরি রাজস্বকরণের দাবি কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা

খাইরুজ্জামান সেতু: চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশের ১৭ দিন ধরে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রয়েছে। চাকরি রাজস্বকরণের দাবিতে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা এ ক্লিনিক বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলাতে রয়েছে ১১৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক। এর মধ্যে সদর উপজেলাতে রয়েছে ২৬টি, আলমডাঙ্গা উপজেলাতে রয়েছে ৪৪টি, দামুড়হুদায় রয়েছে ২৮টি, জীবননগর রয়েছে ২০। কমিউনিটি ক্লিনিকে জেলাই পদ শূন্য রযেছে ১১টি। এর মধ্যে আলমডাঙ্গাতে ৪টি। দামুড়হুদায় ৫টি, জীবননগর ২টি। চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশে ১৭ দিন ধরে দেশের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (সিএইচসিপি) কর্মীরা ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করছে। সূত্রে জানা গেছে, এই ১৭ দিন হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার আন্দোলনে থাকায় ক্লিনিকি শুধু খোলা আর বন্ধ ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। আর এই দায়িত্ব পালন করছেন পািবার পরিকল্পনা সহকারী ও স্বাস্থ্য সহকারীরা। এতে করে পল্লি অঞ্চলের মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই কথা স্বীকার করে চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার জানান জেলার ১শ’ ১৮টা কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১১ টির পদ শূন্য রয়েছে। অর্থাৎ সারা বাংলাদেশের সাথে ১শ’ ৭টা ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে চাকরি রাজস্বকরণের দাবিতে আন্দোলন করছে। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু বঞ্চিতই হচ্ছে না গ্রাম্যচিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছে। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বিষয়টি অবশ্যই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবেন বলে আমরা আশা করি।
উল্লেখ্য, সিএইচসিপি কর্মীরা তাদের চাকরি রাজস্বকরণের দাবিতে ২০-২২ জানুয়ারি স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি স্ব স্ব জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অবস্থান, সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশ করেন।
২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর দাবি আদায় না হওয়ায় গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরণ অনশন করছেন। ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করার জন্য অন্যায়ভাবে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ আটজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।