চুয়াডাঙ্গায় শতকরা ৭২ জন মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে : দামুড়হুদা উপজেলা রয়েছে শীর্ষে

অধিকংশই শিশু ও দুগ্ধ দানকারী মা : সচেতনতার অভাবই মূল কারণ
খাইরুজ্জামান সেতু: চুয়াডাঙ্গায় প্রায়ই মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এর অধিকংশই শিশু। আর এর মূল কারণ সচেতনার অভাব বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে ইউনিসেফ সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে।
সিভিল সার্জন অফিসসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় পুষ্টিহীনতায় ভুগছে শতকরা ৭২ জন। এর মধ্যে বয়সের তুলনায় ওজন কম মানুষ ভুগছে শতকরা ২৯ জন, বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম শতকরা ৩২ জন এবং উচ্চতার তুলনায় ওজন কম শতকরা ১১ জন। এরমধ্যে অধিকংশই শূন্য থেকে ৫ বছরের শিশু, পাশাপাশি রয়েছে দুগ্ধদানকারী মা। জেলার চার উপজেলালাতে তুলনামূলকভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর ও জীবননগর উপজেলাতে পুষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা কম। কিন্তু দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গাতে পুষ্টিহীনতা মানুষের সংখ্যা বেশি। সবচেয়ে পুষ্টিহীন মানুষ বেশি দামুড়হুদা উপজেলাতে। সূত্রে জানাগেছে জেলাতে পুষ্টিহীনতায় ভোগার মূল কারণ সচেতনতার অভাব। কিভাবে খাবার প্রক্রিয়া করলে পুষ্টি থাকবে এটা অনেকেই আমরা জানি না। কিসে পুুষ্টি বেশি আছে সেগুলো আমরা অনকেই জানি না। পুষ্টিবিদদের মতে শরীর ভালো রাখতে হলে পুষ্টির ভূমিকা রয়েছে অপরিসীম। পুষ্টিহীন মানুষ বেশি রোগে আক্রান্ত হয়। পুষ্টিহীনতায় ভুগলে মানুষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারায়। পুষ্টিবিদরা আরও জানান, পুষ্টিহীনতা রোধ করতে খাবার তালিকায় প্রতি বেলাতে ভাত জাতীয় খাবার রাখতে হবে। মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা, দুধ যেকোন একাট খাবার রাখতে হবে। টক ফলের সাথে অন্য যেকোন একটি ফল রাখতে হবে। প্রতিবেলাতে শাক-সবজি রাখতে হবে। তবে সবুজ শাক-সবজি হলে ভলো হয়। বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে গর্ভবতী মা যেনো কোনোভাবেই পুষ্টিহীনতায় না ভোগে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম জানান, জেলাতে পুষ্টিহীন মানুষ কমাতে সরকারের পাশপাশি ইউনিসেফ লজিস্টিক সাপোর্টসহ বিভিন্ন ওষুধপত্র দিয়ে সহায়তা করছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন দফতরের পুষ্টিহীনতা ব্যক্তিদের জন্য কর্নার রাখা হয়েছে। এছাড়াও সভা, সেমিনার, নামাজের খুতবার সময় প্রচার, মহিলা সমাবেশ, মাঠ দিবসসহ বিভিন্ন কর্মসূচি সচেতন করার জন্য প্রচার করা হয়ে থাকে।