পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়ায় গর্ববোধ করছি

চুয়াডাঙ্গা মহিলা দাখিল মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার: ‘তোমাদের এ বিদায়বেলায় কি দেবো উপহার, চোখের অশ্রুছাড়া দেয়ার মতো কিছু তো আর নাই।’ শুরুতেই কথাগুলো বললেন এক শীক্ষার্থী। চুয়াডাঙ্গা মহিলা দাখিল মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও ২০১৮ সালের দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা মহিলা দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা মহিলা দাখিল মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মৌছুফা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা মহিলা দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমতাজ বেগম। আরও বক্তব্য রাখেন, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, মহিলা দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জামিল হাসান জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার আলিয়া মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খালিদ সাইফুল্লাহ, মাদরাসার দাতা সদস্য মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, এমন একটা স্থানে মাদরাসা আছে তা আমার জানাই ছিলো না। শুনেছি আগে এখানে ফকিরদের আড্ডাখানা ছিলো। এখন এখানে একটি মাদরাসা হয়েছে এবং এখানকার পাসের হার শতভাগ শুনে আমি নিজেকে গর্ববোধ করছি। চুয়াডাঙ্গা মহিলা দাখিল মাদরাসাটি একাডেমিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। মানুষের মাদরাসা সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা আছে এই ধারণাকে পাল্টে দিতে পারে মাদরাসার শিক্ষার্থীরাই। পরে জেলা প্রশাসক মাদরাসার বিভিন্নস্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মাদরাসার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপনের আশ্বাস দেন এবং একটি পুরাতন ভবনের টিনের চাল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সদর উপজেলা নির্বাহী বরাবর আবেদন করতে বলেন। মাদরাসার যাতায়াতের স্থানে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন হানিফা খাতুন।