৫৫ বছর ধরে কেউ কথা না রাখলেও আমরা প্রতিশ্রুতি রেখেছি

?

আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণের সকল প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার আনন্দানুষ্ঠানে হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: এটা আলমডাঙ্গাবাসীর জন্য শুভক্ষণ, স্মরণীয় দিন। ৫৫ বছর ধরে ‘কেউ কথা রাখেনি’ আলমডাঙ্গাবাসীর। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। আমরা সরকারিকরণের ব্যবস্থা করেছি। আপনারা মানুষ গড়ার কারিগর। অনেক শিক্ষক কোচিং ব্যবসার সাথে জড়িত। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। সকলকে ক্লাসের পাঠদানে নিষ্ঠাবান হতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের মাদকদ্রব্য থেকে দুরে থাকতে হবে, মাদকের অভিশাপ থেকে সমাজকে রক্ষার জন্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা জনপদের সবচেয়ে পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ায় এক আনন্দানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি।
সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণের সকল প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ায় আলমডাঙ্গা শহরে আনন্দ-র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। একগুচ্ছ রঙবেরঙের বেলুন উড়িয়ে আনন্দ কলধ্বনিতে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ থেকে বের হয়ে আনন্দ-র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ করে। আনন্দযজ্ঞে একটি হুডখোলা সুসজ্জিত জিপগাড়িতে চড়ে হুইপ ওই আনন্দ কার্নিভালের নেতৃত্ব দেন। আনন্দঘন এ মাহেন্দ্রক্ষণে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারি, শিক্ষার্থী ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এ আনন্দযজ্ঞকে ঘিরে পুরো আলমডাঙ্গা শহরে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ গোলাম ছরোয়ার, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শাহ আলম, নাফিউল ইসলাম জোয়ার্দ্দার শান্ত, আব্দুল জব্বার, সহকারি অধ্যাপক রোকনুজ্জামান ডাবলু, আব্দুল মজিদ, লিয়াকত হোসেন লিপু মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম মন্টু।
১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজটি উপজেলার সবচেয়ে পুরাতন কলেজ। কলেজটি সরকারিকরণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। দীর্ঘ ৫৫ বছর পর হুইপের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অবশেষে কলেজটি সরকারিকরণ সম্পন্ন হলো। গত ২৪ জানুয়ারি কলেজটির পক্ষ থেকে সভাপতি হিসেবে হুইপ গিভ অব ডিড স্বাক্ষর করেন। এরই মধ্য দিয়ে সরকারিকরণের দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শুধু আলমডাঙ্গা নয়, আনন্দে মাতোয়ারা আলমডাঙ্গাবাসী। প্রাণের উৎসবের আমেজ এখন আলমডাঙ্গার আকাশে-বাতাসে। এ আনন্দ র‌্যালীকে ঘিরে আলমডাঙ্গা শহর উৎসবের শহরে পরিণত হয়। আলমডাঙ্গা অঞ্চলের সর্বাধিক পুরাতন এ ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ প্রজন্মের পর প্রজন্মব্যাপী শিক্ষার দেয়ালি জ্বালিয়েছে ঘরে ঘরে, হৃদয়ে হৃদয়ে। এখনও এলাকার সবচেয়ে বড় প্রজ্ঞালোকদীপ্ত বাতিঘর হিসেবে পরিগণিত। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী যারা এখন দেশে-বিদেশে প্রজ্ঞা আর অভিজ্ঞতার দ্যুতি ছড়িয়ে বিখ্যাত হয়েছেন, তারা এ শুভ সংবাদে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।