রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতনভাতার প্রদানের দাবিতে দর্শনা-জীবননগর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌথ কর্মবিরতি

দর্শনা অফিস: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দর্শনা ও জীবননগর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩ দিন ব্যাপী কর্মবিরতির ২য় দিনের কর্মসূচি যৌথভাবে পালিত হয়েছে দর্শনা পৌরসভায়। গত রোববার থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতনভাতা ও পেনশনের দাবিতে কর্মবিরতি করছে চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, দর্শনা ও জীবননগর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতনভাতা ও পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা প্রদানের দাবিতে বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী অসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জীবননগর ও দর্শনা পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি দর্শনায় পালিত হয়েছে। কর্মবিরতি চলাকালে পৌরসভার সমস্ত নাগরিক সেবাদান থেকে বিরত রেখেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দর্শনা পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ ১৩ মাস বেতনভাতা বকেয়া রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ৪টি পৌরসভার কর্মচারী-কর্মকর্তাদেরই নয়, এ চিত্র সারাদেশের ৩২৮টি পৌরসভার মধ্যে বেশির ভাগই। কোনো কোনো পৌরসভায় ৫২ মাস পর্যন্ত বেতনভাতা বকেয়া রয়েছে বলে জানা গেছে। কর্মবিরতি চলাকালে দর্শনা ও জীবননগর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর প্যানেল মেয়র রবিউল হক সুমন, কাউন্সিলর মনির সরদার, কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাজেদা আক্তার, চুয়াডাঙ্গা জেলা পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, দর্শনা পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুমি আলম পলাশ, পৌর কর্মকর্তা রুহুল আমীন, আ. মজিদ, আ. রাজ্জাক, মোমিনুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন, জীবননগর পৌর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সারাফাত হোসেন, ওসমান গণি, তরিকুল ইসলাম, আলম হোসেন, হাবিবুর রহমান, হামিদুজ্জামান, হানিফ আলী, বিলকিস খাতুন, ফাতেমা খাতুন, শামসুন্নাহার, ফরিদা পারভিন, আ. রাজ্জাক, ফারুক হোসেন, সমিদ, হাসান প্রমুখ।