দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করা সুখি খাতুন অবশেষে হলো লাশ : মৃত্যু রহস্য উন্মোচনে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে আজ

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে আসা সুখি খাতুন অবশেষে লাশ হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে স্বামী হাফিজুর রহমানের জীবননগরের দেহাটি গ্রামের বাড়ির একটি ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুরহস্য উন্মোচনে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। স্বামী পক্ষের লোকজন বলেছে, সুখি খাতুন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পিতাপক্ষের অভিমত, সুখি খাতুন তার দু’বছরের সন্তান রেখে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। গতকালই বিকেলে মৃতদেহ নেয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে। আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে পিতার গ্রাম কুষ্টিয়া জামতৈল নেয়া হবে নাকি স্বামীর গ্রামে দাফন করা হবে তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দেহাটি গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক হাফিজুর রহমানের সাথে আনুমানিক ৪ বছর আগে বিয়ে হয় জামতৈল গ্রামের আজমত মালিতার মেয়ে সুখি খাতুনের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে শুরু করে হাফিজুর। সুখি খাতুনের পিতা এ অভিযোগ করে বলেছে, দফায় দফায় সুখি খাতুনকে নির্যাতন করে আদায় করেছে যৌতুক। তবুও স্বামীর সংসারে সুখের আশায় সুখি খাতুন সহ্য করেছে নির্যাতন। সংসারে এসেছে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। ছেলের বয়স এখন ২ বছর। কোনো মা কি অতোটুকু সন্তান রেখে আত্মহত্যা করতে পারে? নির্যাতন সহ্য করেও তো সন্তানের দিকে তাকিয়ে তার বেঁচে থাকার কথা। অথচ আত্মহত্যা করেছে বলে সকালে খবর দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ও প্রতিবেশীদের নিকট থেকে বর্ণনা শুনে সন্দেহ হওয়ায় আপত্তি জানানো হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়েছে।