দামুড়হুদার জয়রামপুরে কিশোরী ৪ মাসের অন্তঃস্বত্বা

প্রতিবেশী দু’যুবকের নাম প্রকাশ : ধামাচাপা দেয়ার পাঁয়তারা
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুর বারুইপাড়ায় এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে দেহভোগ করা হয়েছে। ফলে ওই কিশোরী বর্তমানে ৪ মাসের অন্তঃস্বত্বা। এদিকে ঘটনাটি গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসার তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, জয়রামপুর দাখিল মাদরাসা থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার পর অভাবের সংসারে আর লেখাপড়া করতে পারেনি। সে ৪-৫ বছর ধরে এর ওর বাড়ি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সপ্তাহ খানেক আগে ওই কিশোরীর ছোট চাচি বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বাড়ির লোকজনের সাথে আলোচনা করেন এবং গত শনিবার প্রতিবেশী মুক্তা নামের ব্র্যাকে কর্মরত এক স্বাস্থ্যকর্মির কাছে ইউরিণ পরীক্ষা করার পরই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। ইউরিণ পরীক্ষার পর ওই স্বাস্থ্যকর্মি জানান, কিশোরী বর্তমানে ৪ মাসের গর্ভবতী। নড়েচড়ে বসে বাড়ির লোকজন। কে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কিশোরী প্রথমে প্রতিবেশী আরফানের ছেলে ২ সন্তানের জনক বাবুর নাম প্রকাশ করে। তবে গতকাল সে দু’যুবকের নাম প্রকাশ করেছে। অন্তঃস্বত্বা ওই কিশোরীর মা আইনি লড়াইয়ের জন্য মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বাবুর পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। এদিকে অভিযুক্ত মুকুলের মা নূরজাহান বেগম বলেছেন, মুকুল এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। সাংসারিক অভাব অনটোনের জন্যই পড়ালেখার পাশাপাশি সে ওই বাবুর সাথেই রাজমিস্ত্রির যোগালের কাজ করতো। বাবুর স্বভাব চরিত্র ভাল না, বিধায় তার সাথে বর্তমানে আর কাজ করে না। তিনি মুকুলকে নির্দোষ দাবি করে আরও বলেছেন, ওই মেয়ে প্রথমে শুধুমাত্র বাবুর নামই বলেছিলো। পরে সে আমার ছেলের নাম প্রকাশ করে ওই দোষ ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। কারণ বাবু বিবাহিত। তার দুটি সন্তান আছে। আর আমার ছেলে অবিবাহিত। তিনি কেঁদে ফেলে বলেন, ওপরে আল্লাহ আছেন। তিনিই এর বিচার করবেন। প্রতিবেশীদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অভিযুক্ত বাবুর নামে ইতোপুর্বেও এ ধরণের অভিযোগ আছে। তার স্বভাব চরিত্র ভালো না।