নিউজিল্যান্ডকে ৪৮ রানে হারিয়ে টি২০ সিরিজে সমতা আনলো পাকিস্তান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৪৮ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে সমতা এনেছে পাকিস্তান। আজ নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে পাকিস্তানের ছুড়ে দেয়া ২০২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৮.৩ ওভারেই ১৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায় কিউইরা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক ৩৭ রান করেছেন টেল এন্ডার ব্যাটসম্যান সান্টনার। ৩০ রান করেছেন বল হাতে দুই উইকেট সংগ্রহ করা হুইলার। ওপেনার গাপটিল সংগ্রহ করেন ২৬ রান।

বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে ব্যাটিংয়ের শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক দল। ৬৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা ব্ল্যাক ক্যাপসরা শেষ পর্যন্ত পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করতেই ব্যর্থ হয়েছে। সফরকারী দলের হয়ে সর্বাধিক তিন উইকেট শিকার করেছেন ফাহিম আশরাফ। ৩.৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে উইকেট তিনটি সংগ্রহ করেন তিনি। এছাড়া মোহাম্মদ আমির ২৮ রানে দুটি এবং শাদাব খান ৩৭ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট লাভ করেন।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করে। বাবর আজম ও ম্যাচ সেরা ফকর জামানের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ওই সংগ্রহ দাঁড় করায় সফরকারী দল। দুজনই দলের হয়ে সর্বাধিক ৫০ রান করে সংগ্রহ করেন। এছাড়া অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ৪১ ও শেহজাদ আহমেদ সংগ্রহ করেন ৪৪ রান।

সিরিজের প্রথম টি২০ ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পাওয়া ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে ফকর জামান ও আহমেদ শেহজাদের ওপেনিং জুটিতেই ৯৪ রানের পার্টনারশীপ গড়ে তুলে পাকিস্তান। এর আগে সফরের বিগত ছয় ম্যাচে সফরকারী পাকিস্তানের ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল মাত্র ১৪ রান।

ইডেন পার্কের আজকের ম্যাচে এই জুটি চার ছয়ের আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে নাস্তানাবুদ করে রেখেছিল সফরকারী দলের বোলার ও ফিল্ডারদের। বিশেষ করে পেসার বেন হুইলার ও সেট রেঞ্চকে ভালই শাস্তি দিয়েছেন। দুই জনেই ওভার প্রতি ১৩ রান করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। যে কারণে নিউজিল্যান্ড বাধ্য হয়েছে ইশ সোদি ও মিশেল সান্টনারের স্পিনের সহায়তা নিতে। সান্টনারের প্রথম ওভারে অবশ্য ফকর তিনটি ছক্কা হাকিয়েছেন। যার সাহায্যে ক্যারিয়ারের প্রথম টি২০ হাফসেঞ্চুরি পুর্ণ করতে সক্ষম হন তিনি। এজন্য তিনি বল খরচ করেছেন মাত্র ২৬টি। শেষ পর্যন্ত নবম ওভারে গিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গেন রেঞ্চ। তার স্লোয়ার বলে শেহজাদ সজোরে আঘাত করলে সেটি সোজা গিয়ে আশ্রয় নেয় সিমান্ত রেখায় দাঁড়ানো কলিন ডি গ্রান্দুমের হাতে। এসময় দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯৪ রান। দলীয় সংগ্রহ ৯৬ রানে পৌছালে শেহজাদকে অনুসরণ করে সাজঘরে ফিরেন অপর ওপেনার ফকর। এবারের উইকেটটি সংগ্রহ করেছেন ডি গ্র্যান্ডহোম নিজেই। পাকিস্তান দলের বাকী উইকেট দুটি সংগ্রহ করেছেন হুইলার। ৩৬ রানে ২ উইকেট সংগ্রহ করেন তিনি। এর পর অবশ্য শেষ ওভারে চারটি বাউন্ডারি হাকিয়ে নিজের হাফ সেঞ্চুরি (৫০) পুর্ন করার পাশাপাশি দলকে ২০০ রান পার করে দেন বাবর।