চুয়াডাঙ্গা সদর তিতুদহে কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এমপি আলী আজগার টগর
বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ও গড়াইটুপি ইউনিয়ন শাখার ত্রি-বার্ষিক কৃষকলীগের সম্মেলন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় তিতুদহ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিতুদহ ইউনিয়ন শাখা কৃষকলীগের সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়নের রূপকার, গণমানুষের নেতা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আ.লীগের সহসভাপতি হাজি আলী আজগার টগর এমপি। প্রধান অতিথি বলেন, সম্মেলন করা হয় নেতাকর্মীদের মতামত নেয়ার জন্য। আর নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিত্বেই নির্বাচিত হয়ে থাকে নেতা। মুখ দেখা, আত্মীয়করণ বা স্বজন প্রীতি করে না। সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে আর নেতা নির্বাচিত হবে যোগ্যতার মাফ কাটিতে। এসময় তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। উন্নয়ন চলমান রাখতে হলে আবারও নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। দেশ স্বাধীনের দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ আ.লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে মাত্র সাড়ে ১৩ বছর। বাকি সময় যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলো তারা লুটপাট করে দেশটিকে তলা বিহীন ঝুড়ি করেছে। সেখান থেকে দেশকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। রাষ্ট্রের সম্পদ যারা পাচার করে ছিলো আজ তাদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। নির্বাচন আসলে আ.লীগকে নিয়ে নানাভাবে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করা হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই নিজেদের মধ্যকার সকল ভেদাভেদ ভুলে দলের স্বার্থে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে। নির্বাচনের আগে আপনাদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি তার মূল্যায়ন করার দায়িত্ব আপনাদের। শুধু এত টুকু বলতে পারি চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকায় মানুষের কষ্টলাঘবে প্রায় ২৩২ কি.মি পাকা সড়ক করেছি। বাকি যতটুকু সময় আছে এ সময়ের মধ্যে এলাকার যেসব উন্নয়ন হয়নি তা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়তে জাতিকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সে স্বপ্ন পূরণে আমি একজন কর্মী হয়ে কাজ করছি মাত্র। আর সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বর্তমান সরকারের এ সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে পঁচাত্তোরের ঘাতকেরা আজও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমি নেতা নয়, নৌকার একজন সেবক হয়ে জীবনের বাকি সময় টুকু পার করতে চাই। একটি বিষয় আপনাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে কৃষিতে ভর্তুকী, বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, ভিজিএফ, ভিজিডি, চিকিৎসা ব্যবস্থা, ভিক্ষুক মুক্তকরণ, মানুষের মাথাপিচু আয় বৃদ্ধি, রিজার্ভ বৃদ্ধি, চাকরি জীবিতদের সুযোগ-সুবিধায় বাস্তবিক উন্নয়ন করেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের দফতর সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও মমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এসএম জাকারিয়া আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, আ.লীগ নেতা অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, আলী মুনছুর বাবু। সদর উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য মাহাবুবুর রহমান রিপনের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টিপু, তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি খবির উদ্দীন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মাস্টার, আ.লীগ নেতা শফিকুর রহমান রাজু, আব্দুল মতিন, আবুল কাশেম, হায়দার মল্লিক, তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রোকন উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রেজা, আব্দুল কুদ্দুস, ছাদেক আলী, বেগমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিফ, ছাত্রলীগ নেতা তোফাজ্জেল হোসেন তপু, অপু সরকার, জ্যাকি, সজল প্রমুখ। জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির বলেন, তিতুদহ ইউনিয়নে সভাপতি পদে ৭টি, সাধারণ সম্পাদক পদে ১টি, গড়াইটুপি ইউনিয়নে সভাপতি পদে ৫টি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২টি আবেদন জমা পড়েছে। পরবর্তীতে পত্রিকামারফত কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে।