দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ : এড়াতে চায় ভারত

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য জয়ী হয়ে র‌্যাঙ্কিঙের শীর্ষ দল ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করা। পক্ষান্তরে ভারতের লক্ষ্য হোয়াউটওয়াশ এড়ানো। প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের ফলে ভারতকে হোয়াইটওয়াশের সুর্বন সুযোগ দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। প্রোটিয়ারা এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চায়। তবে জোহানেসবার্গে এ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে পেস বোলিং সহায়ক পিচ। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস ও দলের ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছেতেই এমন সবুজ পিচ তৈরি করা হয়েছে। প্রথম দু’টেস্টে ফ্লাট উইকেট হওয়াতে হতাশ হয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দলপতি ডু-প্লেসিস।

তাই দলের চাওয়াতেই জোহানেসবার্গে সবুজ ঘাসের পিচ তৈরি করেছেন ওই ভেন্যুর গ্রাউন্ডসম্যান বেথুয়েল বুথেলেজি।এ ব্যাপারে স্থানীয় একটি পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের ইচ্ছেতেই সবুজ উইকেট বানানো হয়েছে। এখানে পেসাররা বেশি সুবিধা পাবে।’ তবে এই ভেন্যু ভারতের জন্য লাকি। ১৯৯২/৯৩ মরসুমে প্রথম এই ভেন্যুতে খেলতে নামে ভারত। এরপর এখানে চারটি টেস্টের কোনটিতেই হারেনি টিম ইন্ডিয়া। তিনটি ম্যাচ ড্র ও ১টিতে জয় পায় তারা।

পেসারদের নৈপুণ্যে ২০০৬ সালের সফরে জোহানেসবার্গের টেস্টে ১২৩ রানে জয় পায় ভারত। ডান-হাতি পেসার শ্রীশান্তের বোলিং তোপে আত্মসমর্পণ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি উইকেট নেন শ্রীশান্ত। প্রথম ইনিংসে ভারতের ২৪৯ রানের জবাবে শ্রীশান্ত তোপে ৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৪০২ রানের টার্গেট দেয় ভারত। জবাবে ২৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এরপর ২০১০ সালে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ নেয় ভারত। ডারবান টেস্টে প্রোটিয়াদের ৮৭ রানে হারায় টিম ইন্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ১৯ টেস্টে ২টি জয় ভারতের। হার ১০টি ও ড্র ৭টি। চলতি সিরিজে ভারতের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ব্যর্থতার ষোলকলা প্রদর্শন করেছেন। একমাত্র বিরাট কোহলিই একটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও বোলারদের পারফরমেন্স ছিলো চোখে পড়ার মতো। দু’টেস্টেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চারবার অলআউট করে ভারতীয় বোলাররা। প্রথম টেস্টে ২৮৬ ও ১৩০ রানে অলআউটের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৩৫ ও ২৫৮ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। জোহানেসবার্গের এই ভেন্যুতে ব্যক্তিগত সুখস্মৃতি রয়েছে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির। ২০১৩ সালের সফরে ১১৯ ও ৯৬ রানের দু’টি ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। তার ব্যাটিং নৈপুন্যেই ড্র হয়েছিলো টেস্টটি।

সুখস্মৃতি রয়েছে তিন নম্বরে খেলতে নামা চেতেশ্বর পূজারারও। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে এবারের সফরে চার ইনিংসে মাত্র ৪৯ রান করেছেন পূজারা। এরমধ্যে সেঞ্চুরিয়ান টেস্টের দু’ইনিংসেই রান আউট হন পূজারা। পূজারার মত ব্যর্থ হয়েছেন পাঁচ নম্বরে নামা রোহিত শর্মাও। চার ইনিংসে ৭৮ রান করেছেন ওয়ানডেতে রেকর্ড তিনটি ডাবল-সেঞ্চুরির মালিক রোহিত। তাই তার জায়গায় আজিঙ্কা রাহানের একাদশে সুযোগ একরকম নিশ্চিতই।