৪৭১ উপজেলায় সংরক্ষিত নারী আসনে উপ-নির্বাচন
স্টাফ রিপোর্টার: ৪৭১টি উপজেলায় সংরক্ষিত নারী আসনের ১ হাজার ৪৩৭টি পদের উপনির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। গত ৮ জানুয়ারি ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ২৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৬৬৪ জন মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে এ পর্যন্ত ৮৭৩টি নারী আসনে একক প্রার্থী পেয়েছে কমিশন। আর ২১৫টিতে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। একাধিক প্রার্থী রয়েছে ৩৪৯টি নারী আসনে। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিলো ১৩ হাজার ৮০৭ জন। ইসি সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৫ জুন নারী সদস্য পদে প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট উপজেলার এলাকাভুক্ত পৌরসভা (যদি থাকে) ও ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য বা নারী কাউন্সিলররা প্রার্থী ও ভোটার হবেন। বর্তমান উপজেলা পরিষদগুলোর মেয়াদ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত রয়েছে। এ নির্বাচনে জয়ীরা ওই মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন।
উপজেলা পরিষদের ১ হাজার ৪৩৭টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদ শূন্যের কারণ সম্পর্কে ইসির কর্মকর্তারা জানান, অনেক নারী সদস্য ২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ এবং ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেছেন। আবার অনেকে চেয়ারম্যান বা অন্যান্য পদে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছে। এসব কারণে পদগুলো শূন্য হয়।
নবনির্বাচিত নারী সদস্যদের মেয়াদ সম্পর্কে ইসির কর্মকর্তারা জানান, তাদের মেয়াদ হবে বর্তমান উপজেলা পরিষদের বাকি মেয়াদকাল পর্যন্ত। অর্থাৎ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত। কেননা, উপজেলা পরিষদগুলোতে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিলো ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত। উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ এর ৭ ধারা অনুসারে এসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ (প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর) আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে।
উপজেলা পরিষদ আইনের ১৬(খ) ধারা অনুযায়ী, মহিলা সদস্য পদ শূন্য হলে ওই আসনে ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ১৭ ডিসেম্বর এসব পদ শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এ হিসেবে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ভোটগ্রহণ করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।