স্টাফ রিপোর্টার: যে পরিকল্পনা নিয়ে প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশ, সেই একই পরিকল্পনা নিয়ে স্বাগতিকরা নামছে পরের ম্যাচেও। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই আবার একাদশে ফিরছেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল হক। বাইরে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বাঁহাতি স্পিনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানের বরাবরের দুর্বলতার কথা ভেবে সেদিন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে একাদশে রাখা হয়েছিলো সানজামুলকে। কৌশল সেদিন কাজে দিয়েছিলো বেশ। ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। নতুন বলে ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন সানজামুল।
ভালো পারফর্ম করলেও পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জায়গা হয়নি সানজামুলের। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া আর ব্যাটিং উইকেটের কথা মাথায় রেখে সেদিন খেলানো হয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফ উদ্দিনকে। মঙ্গলবার প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, তাই আবার সুযোগ পাচ্ছেন সানজামুল। এই একটি ছাড়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা আর খুব একটা নেই। মুস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রামের কথা ভেবেছিল দল। তবে তার ছন্দ ধরে রাখতে বিশ্রাম না দেয়ার পক্ষেই মতো বেশি। প্রথম দুই ম্যাচেই বোনাস পয়েন্টসহ জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচে তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকছে। বিশেষ করে মোহাম্মদ মিঠুন ও আবুল হাসানকে খেলানোর ভাবনা এসেছে। তবে সেটির চেয়ে জয়ের ধারা ধরে রাখাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দল। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ ফাইনাল নিশ্চিত করার পর বলেছেন, খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যাবে না দল।
‘জয়টা একটা অভ্যাস। জয় থেকে দূরে সরে গেলেই সমস্যা। আমরা এই দল নিয়েও হারতে পারি, সেরা একাদশ নিয়েও হারতে পারি। হয়ত কিছু ট্যাকটিক্যাল বদল থাকবে, সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু জয়ী কম্বিনেশন ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কিন্তু এখনো ফাইনাল জিতিনি। ফাইনাল জেতাটাই আসল। আমরা দুটি ম্যাচ দারুণভাবে জিতেছি, ভালো একটা অবস্থানে আছি। আমরা এই জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে চাই।’