ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও একটা কথা থাকতো। অথচ টাইগাররা শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে রেকর্ড ১৬৩ রানে। এই হার শ্রীলঙ্কার জন্য নিশ্চয়ই লজ্জার। হাথুরু সিংহের জন্যও আলাদা কিছু নয়। স্বাগতিক দেশের আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে এই ম্যাচ জিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায়। দুর্দান্ত এক খেলা উপহার দেয়ার জন্য টাইগারদের অবশ্যই অভিনন্দন প্রাপ্য। যদিও অপেক্ষাকৃত দুর্বল টিম জিম্বাবুইয়ের কাছেও হেরেছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা প্রত্যেকেই দুর্দান্ত খেলেছে। সীমিত ওভার ম্যাচে বল গুনে গুনে রানের গতি বাড়াতে হয়, উইকেট ধরে রাখতে হয়। এই মূল ব্যাকরণটি টাইগাররা নিখুঁতভাবে অনুসরণ করেছে। ওভারের সংখ্যা যতো বেড়েছে, রানের গতিও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পেশাদারিত্ব। তামিম-সাকিব-মুশফিক এই তিনজনের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা না করলে স্বীকৃতিদানে কার্পন্যই হবে। সব মিলিয়ে এখন বাংলাদেশ দল বোলিং-ফিল্ডিং-ব্যাটিং সব শাখাতেই এতোটা লড়াকু হয়ে উঠেছে যে, বিশ্বের যেকোনো দেশের জাতীয় ক্রিকেট দল তাদের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে সমীহ বজায় রাখবে।
তারপরও থাকে চর্চা, অনুশীলন ও সাধনার বিষয়টি। হ্যাঁ, অনিশ্চয়তা আছে বটে। সেটি ব্যতিক্রম হিসেবেই চিহ্নিত। অঘটন বার বার ঘটে না। ক্রিকেটশক্তির ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এই অঘটনের মাত্রা শূন্যের কাছাকাছি নেমে আসে। ত্রিদেশীয় কাপের ফাইনাল টাইগাররা এমন ব্যবধানে জিতুক যা গত শুক্রবারের ম্যাচের মতোই চমকিত করবে ক্রিকেটবিশ্বকে- এটাই এ মুহূর্তে দেশবাসীর চাওয়া। ফলে ফাইনালের দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ।