বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর কালুপোল প্রত্তাত্ত্বিক রাজারভিটা গ্রাম থেকে একটু দূরে অবস্থিত। সেখানে নেই কোনো আলোর ব্যবস্থা। অন্ধকার রাজারভিটায় আলো জ্বালাতে পল্লী বিদ্যুত বিভাগ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ফলে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে অন্ধকার তাড়াতে বিদ্যুত সংযোগের ব্যবস্থা করতে কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন ঐতিহাসিক রাজারভিটা। দিন দিন কালুপোল রাজারভিটার শ্রীবৃদ্ধি করতে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করায় এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ পর্যন্ত প্রতœতত্ত্ব নিদর্শন খুঁজে পাওয়া না গেলেও সম্প্রতি প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর তিতুদহ ইউনিয়নের কালুপোলের গন্ধর্প রাজারভিটার ঢিবিতে অনুসন্ধান চালিয়ে নিচে লুকায়িত পূরাকীর্তির নিদর্শন ভা-ারের সন্ধান পেয়েছে। ২০১৬ সালে প্রতœতত্ত্ববিদরা জোরেসোরে শুরু করে প্রাথমিক খননের কাজ। কৌতূহলী হয়ে উঠচ্ছে এলাকার মানুষ। স্থানটিকে সংরক্ষিত পূরাকীর্তি ঘোষণা করায় চলতি মাসে মূলখননের কাজ শুরু করে। ফলে প্রতœতত্ত্ব উপকরণ আবিষ্কার হলে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস হবে সমৃদ্ধ। দ্বার উন্মোচিত হবে পর্যটন কেন্দ্র এবং জাদুঘরের মতো স্থাপনার। ইতোমধ্যে জাদুঘর করার জন্য অনেকেই জমি দান করেছেন। স্থানটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরুরি ছিলো বিদ্যুত। কারণ নতুন করে বিদ্যুত সংযোগ পাওয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া। গত শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসী অন্ধকার রাজারভিটায় আলো জ্বালানোর দাবি তোলেন। তারই প্রেক্ষিতে উপস্থিত মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের সভাপতি আত্মবিশ্বাসের পরিচালক আকরামুল হক বিশ্বাস খোকন দ্রুত বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সে লক্ষ্যে গতকাল রোববার দুপুরে তিনি, পল্লী বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী, ডিজিএম কারিগরি শ্রী প্রধাশ কুমার ম-ল, চুয়াডাঙ্গা জেলা ডিজিএম হাবিবুর রহমান, আর.ই কুমারেশ চন্দ্র রায়সহ পল্লী বিদ্যুত বিভাগের অনেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এসময় সমিতির চেয়ারম্যান এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যেই ঐতিহাসিক কালুপোল রাজারভিাটায় বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হবে। যদিও স্থানটি গ্রাম থেকে বেশ খানিক দূরে। এদিকে ঐতিহাসিক কালুপোল রাজারভিটার মাটির নিচের প্রতœতত্ত্ব নিদর্শন আবিষ্কার, জাদুঘর গড়ে ওঠার জন্য জমিদান, যাতায়াতের জন্য রাস্তার ব্যবস্থা করা এবং আলো জ্বালাতে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে বিদ্যুত সংযোগ সব মিলিয়ে রাজারভিটার শ্রীবৃদ্ধির পাশাপাশি গুরুত্বও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিদর্শন আবিষ্কার এবং জাদুঘর গড়ে উঠলে জেলার আর্থসামাজিকের উন্নয়ন ঘটবে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।