দেশি টুকরো

ব্যাংক পরীক্ষায় ডিজিটাল চুরি!

স্টাফ রিপোর্টার: অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগের পরীক্ষায় ডিজিটাল চুরির জন্য পাঁচ পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে মোট ৬ হাজার ১২৮ জন প্রার্থী অংশ নেন। এ সময় তিতুমীর কলেজ কেন্দ্র থেকে ২ জন ও তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র থেকে ৩ জনসহ মোট ৫ জনকে ডিজিটাল ডিভাইসসহ হাতেনাতে ধরা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন খান বলেন, ‘কয়েকজনকে ডিজিটাল ডিভাইসসহ ধরা হয়েছে। ওই পরীক্ষার আয়োজক ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ। তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

পথচারী নারীকে অজ্ঞান করে অলঙ্কার ছিনতাই!

স্টাফ রিপোর্টার: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক গৃহবধূকে অজ্ঞান করে সোনার অলঙ্কার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে পৌর সদর জেলা পরিষদ মার্কেটের পশ্চিম পাশে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূর নাম আফরোজা বেগম। তিনি বোয়ালমারী পৌরসভার শিবপুর মহল্লার স্থানীয় ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমানের স্ত্রী। জিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় তার স্ত্রী পৌরসভার জেলা পরিষদের মার্কেটের পশ্চিম পাশের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের তিন যুবক আফরোজার নাক ও মুখে চেতনানাশক স্প্রে করেন। এতে তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। পরে ওই যুবকেরা তাকে বাজারের একটি গলিতে নিয়ে যান এবং তার গলায় থাকা সোনার চেইন ও হাতের দুটি বালা নিয়ে যান। এগুলোর ওজন আনুমানিক দেড় ভরি।

ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে খুন করে ৮ টুকরা

স্টাফ রিপোর্টার: জানুয়ারির শুরুর দিকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলায় হাত-পা ও মাথাবিহীন অজ্ঞাতপরিচয় যে লাশটি পাওয়া গিয়েছিলো, তাকে ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে খুন করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্ত শেষে তিনজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গতকাল শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য দেয়। নিহত মো. মফিজুর রহমান (৪০) সাভার উপজেলার কাইসারচর ভাকুর্তা এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। ওই এলাকার বটতলা বাজারে তার একটি সোনার দোকান রয়েছে। তাছাড়া তিনি কবিরাজি করতেন। চলতি মাসের ২ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিককে তুলে নেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিনকে কে বা কারা তুলে নিয়ে গেছে। এ মর্মে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন লেকহেড গ্রামার স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী। জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন মিয়া। সালাউদ্দিন মিয়া  জানান, জিডিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শাদা পোশাকে ৭-৮ জন লোক গুলশান-১  সেকশনস্থ লেকহেড গ্রামার স্কুলের সামনে থেকে খালেদ হাসান মতিনকে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে কাউন্টারটেররিজম ইউনিটের ডিসি মহিবুল ইসলাম বলেন, তারা এমন কাউকে আটক করেননি।

উল্লেখ্য, জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা ও ধর্মীয় উগ্রবাদে উৎসাহ দেয়ার অভিযোগে গত বছর গত নভেম্বর মাসে এই স্কুলটি বন্ধ করে দিয়েছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে সভাপতি করে এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ করে স্কুলটি চালুর নির্দেশ দিয়েছিলো সর্বোচ্চ আদালত।