নিউজিল্যান্ডে হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিস্তান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেও হেরে নিউজিল্যান্ডের কাছে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো সফরকারী পাকিস্তান। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে কিউইদের কাছে ১৫ রানে হারে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করা পাকিস্তান। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে ওয়ানডে ফরম্যাটে এই নিয়ে তৃতীয়বার হোয়াইওয়াশ হলো পাকিস্তান। ১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো পাকিস্তান।
ওয়েলিংটনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। ওপেনার মার্টিন গাপটিলের ব্যাটিং দৃঢ়তার সাথে কলিন মুনরো, অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, রস টেইলর ও কলিন গ্র্যান্ডহোমের ছোট ছোট ইনিংসের কল্যাণে বড় সংগ্রহের পথ পায় নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে গাপটিলের ১৩তম ও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭১ রানের লড়াই করার পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে জয়ের জন্য ২৭২ রানের লক্ষ্যে এবারও ভালো শুরু করতে পারেনি পাকিস্তান। ডান-হাতি পেসার ম্যাট হেনরির বোলিং তোপে দলীয় ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে স্কোর বোর্ডে ৫৭ রানে যোগ হতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। এরমধ্যে ৩টি উইকেটই নেন হেনরি। শুরুতেই ৫ উইকেট হারানোর ধাক্কাটা পরবর্তীতে দারুণভাবে সামাল দেন হারিস সোহেল ও শাদাব খান। ১২২ বলে ১০৫ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন তারা। এতে ম্যাচে ফিরে পাকিস্তান। কিন্তু নিজের সপ্তম ও অষ্টম ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যানকেই শিকার করেন নিউজিল্যান্ডের বাঁ-হাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। ফলে ম্যাচ জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের। কিন্তু ২৫৬ রানে গিয়ে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। শেষদিকে ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ২৩ রান করে করেন। ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন আমির ইয়ামিন। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে তিন ম্যাচের টোয়েন্টি টোয়েন্টি সিরিজে লড়াই শুরু করবে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান।