দুই পেরেরার লড়াইয়ের পরও শ্রীলঙ্কার হার

স্টাফ রিপোর্টার: কুশাল পেরেরার পর থিসেরা পেরেরা। দুই পেরেরার পারফরম্যান্সের পরও শেষ পর্যন্ত জয় পায়নি শ্রীলঙ্কা। বলতে গেলে তীরে গিয়ে তরী ডুবল হাথুরুসিংহের শিষ্যদের। মাত্র ১২ রানের জন্য পরাজয়ের তিলক আঁটতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। লঙ্কানদের পরাজয় নয়। বলতে হবে জিম্বাবুয়ে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলেই ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে। বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে হেরে যাওয়া দলটি ১২ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে ফিরেছে। ইনিংসের শুরুর দিকে লড়াই চালিয়ে গেছেন কুশল। আর শেষ দিকে থিসেরা। তাদের বাড়তি দায়িত্বশীলতায় একটা সময়ে দুশ্চিন্তা মুক্তছিলেন কোচ হাথুরু সিংহে। কিন্তু জয় থেকে ১৬ রান দূরে থাকতে থিসেরা পেরেরা আউট হয়ে গেলে লংকানদের জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে যায়। ১২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে।

দারুণ শুরুর পরও তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শুরুর ৫.৪ ওভারে ৪৬ রান করা দলটি এরপর এক রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায়। ৪ রানের সময় নতুন জীবন পাওয়া উপল থারাঙ্গা৭ রান করে আউট হয়েগেলে উইকেটে এসে সেট হওয়ার আগেই সাজঘরে পথ ধরেন কুশাল মেন্ডিস।

৪৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরান ওপেনার কুশল পেরেরা। ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ খেলে যাওয়া লঙ্কান এই ওপেনার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির দিকেই যাচ্ছিলেন। তার সেই অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন সিকান্দার রাজা। স্পিনে কাবু হওয়ার আগে ৮৩ বলে ৮ চার ও দুই ছক্কায় ৮০ রান করে ফেরেন লংকান এই মারমুখী ব্যাটসম্যান।

কুশলের বিদায়ের পরপরই মুজারাবানির শিকারে পরিণত হন অধিনায়ক অ্যাঞ্জোলো ম্যাথিউ। সাজঘরে ফেরার আগে ৬৪ বলে ৪২ রান করেন। এরপর দিনেশ চান্দিমাল লড়াইয়ের চেষ্টা করেও পারেননি। তিনি ফিরেন ৩৪ রানে। শেষ দিকে অলরাউন্ডার থিসেরা পেরেরা একাই লড়াই করে যান। যোগ্য সঙ্গী না পাওয়া দলকে পরাজয় থেকে মুক্তি দিতে পারেননি পেরেরা। চাতারাজারভিস-ক্রেমারদের নিয়ন্ত্রণ বোলিংয়ে ২৭৮ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। গতকাল বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে। উদ্বোধনীতে ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় ইনিংস গড়ার আভাস দেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। জিম্বাবুয়ের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ৭৩ এবং শেষ দিকে আক্রমণাত্নক খেলা সেকান্দার রাজার ৬৭ বলে করা অপরাজিত৮১ রানে ভর করে ২৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে জিম্বাবুয়ে।