আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা বিষক অধিদফতরের টেইলারিং ও ভার্মিন কম্পোস্ট ট্রেইনার নিয়োগ প্যানেল প্রস্তুতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা বিষক অধিদফতরের টেইলারিং ও ভার্মিন কম্পোস্ট ট্রেইনার নিয়োগপ্যানেল প্রস্তুতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দরখাস্তের সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও দরখাস্ত গ্রহণ, অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও স্বজনপ্রীতি দেখিয়ে অনভিজ্ঞকে প্যানেলভুক্ত করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, দেশের অন্যান্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মতো আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে টেইলারিং ও ভার্মিন কম্পোস্ট পরিদর্শক পদে ২ জন নিয়োগের নিমিত্তে গত ৫ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগপ্রার্থীদের যোগ্যতা চাওয়া হয় এসএসসি পাশ ও ২ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা। দরখাস্তের শেষ তারিখ ছিলো ৩০ অক্টোবর। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এ নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয় যে, প্রাপ্ত দরখাস্তগুলি যাচাই বাছাই শেষে প্রার্থীর যোগ্যতার মূল্যায়নপূর্বক ২টি ট্রেড থেকে সর্বোচ্চ ৩টি করে ৬ জনের একটি প্যানেল প্রস্তুত করে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের প্রকল্প পরিচালক ও জনবল নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক বরাবর পাঠাতে হবে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, চাকরিপ্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের কোনো নির্দেশনা না থাকা সত্ত্বেও আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের নিয়োগ কমিটি গত ১৫ জানুয়ারি আবেদনকারীদের ফোন করে ডেকে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করেন। পরীক্ষাগ্রহণ সাপেক্ষে নিয়োগ কমিটি যোগ্যতার ভিত্তিতে যে প্যানেল প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠিয়েছেন তা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন আবেদনকারী প্রার্থীদের অনেকে। তাদের দাবি, টেইলারিং ট্রেডে ১ নং সিরিয়ালে রাখা হয়েছে সাথী খাতুনকে অথচ দরখাস্ত জমা দেয়ার সময় তিনি অভিজ্ঞতার সনদ সংযুক্ত করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এক পিয়নের আত্মীয় হওয়ায় তাকে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে প্যানেলের ১নং সিরিয়ালভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগকারীদের দাবি। এছাড়া ভার্মিং কম্পোস্ট ট্রেইনার পদের প্যানেলে যাকে ১নং সিরিয়ালে রাখা হয়েছে সেই শামসুজ্জামান দরখাস্ত জমা দিয়েছিলেন দরখাস্ত জমা দেয়ার নির্ধারিত সময়সীমার পর। অভিযোগকারীরা প্রস্তুতকৃত প্যানেল বাতিল সাপেক্ষে নতুন করে প্রকৃত যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্যানেল প্রস্তুত করার দাবি জানিয়েছেন।