ভাইদের মানসিক চাপে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়লেন বুইচিতলার ইছাহক

ছেলে না থাকায় নিজ নামীয় জমি একমাত্র মেয়ের নামে রেজিস্ট্রি করতে এসে বিপত্তি

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: ছেলে না থাকায় নিজ নামীয় জমি একমাত্র মেয়ের নামে রেজিস্ট্রি করতে এসে ভাইদের তোপের মুখে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ইছাহক আলী নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বুইচিতলা গ্রামের মৃত জেবের আলীর ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা গেটের সামনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের বুইচিতলা গ্রামের ইছাহক আলীর একমাত্র মেয়ে আরজিনা খাতুনের প্রায় ১৪ বছর আগে একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তখন কনের বয়স ছিলো মাত্র ১১ বছর। আর ছেলের বয়স ছিলো ১৫ বছর। ইছাহক আলী ছিলেন পেশায় একজন কৃষক। বছর দুয়েক ধরে তিনি হার্ডের সমস্যায় ভুগছিলেন। নিজের মৃত্যুর কথা ভেবে তিনি তার নিজ নামীয় ৬০ শতক জমির মধ্যে ৩৩ শতক জমি একমাত্র মেয়ে আরজিনা খাতুনের নামে গতকাল রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য দামুড়হুদায় আসেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইছাহক আলীর ৮ ভাইয়ের মধ্যে (আ. ওহাব, সিরাজ এবং আবুল হোসেন) এ তিন ভাই দামুড়হুদায় ছুটে আসেন। উপজেলা গেটের সামেনেই শুরু হয় ভাইদের সাথে বাগবিতণ্ডা। বাগবিত-ার একপর্যায়ে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ইছাহক আলী। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত ৯টার দিকে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। ৮ ভাইয়ের মধ্যে নিহত ইছাহক আলী ছিলেন সেজ। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ভাইদের শাস্তি হওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যারা সামান্য জমির লোভে আপন ভাইকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে মৃত্যুর দিকে টেলে দিতে পারে তাদের কী আসলেই আপন ভাই হিসেবে গণ্য করা যাবে নাকি শত্রু হিসেবে?