দামুড়হুদায় বাসের যাত্রীর কাছে মিললো ৬৪ ভরি সোনার গয়না

?

গ্রেফতারকৃত কামাল ও খয়েরহুদার জুয়েলসহ ৩ জনের নামে মামলা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে বড় ধরনের সোনার চালান আটক করতে সক্ষম হয়েছে। ৬৪ ভরি সোনার গয়নাসহ কামাল হোসেন (৩৯) নামের একজনকে আটক করেছে। গ্রেফতারকৃত কামাল হোসেন জীবননগর উপজেলা সদরের আঁশতলাপাড়ার মর্ত মুনছুর আলীর ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানার এএসআই মহিউদ্দীন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি লোকাল বাসে তল্লাশি চালায় এবং কামাল হোসেনে নামের ওই যাত্রীর শরীরে থাকা জ্যাকেটের পকেট থেকে ছোট ছোট দুটি বাক্স উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরপরই থানায় পৌঁছান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জীবননগর উপজেলার খয়েরহুদা গ্রামের মৃত শরীফ উদ্দীনের ছেলে জুয়েল ওই সোনার মূল মালিক বলে গ্রেফতারকৃত কামাল পুলিশের কাছে জবানবন্দী দেন। তিনি আরও বলেন, আমি ৫শ’ টাকার জোন। জুয়েল ওই বাক্স দুটি সকালে আমার হাতে দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে। যার কাছে দিতাম আমি তার নামও জানিনা। তবে জুয়েল তার মোবাইল নম্বর দিয়েছিলো। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিষয়টি জানানো হয় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানকে। এর কিছুক্ষণ পর আসেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। থানায় ডেকে নেয়া হয় দামুড়হুদা বাজারের লিপি জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আশেখ উদ দৌলা লিটনকে। সকলের উপস্থিতিতে তিনিই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, জব্দকৃত গয়নাগুলো ২২ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি। এরপর শুরু হয় গণনা। উদ্ধারকৃত গয়নার মধ্যে রয়েছে গোলপাশা ৮২ পিস, চিকন বেঙ্গলবালা ১০ পিস, হাতের চুড়ি ৪ পিস, দুলসহ নেকলেস সেট ৬ পিস, ঝুমকো ১১ সেট, লেডিস আঙটি ৩২ পিস এবং কানের দুল ১০ জোড়া। যার মোট ওজন ৬৪ ভরি ৪ আনা ১ রতি এবং বর্তমান বাজার মূল্য ৩২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, আটক কামাল ও জুয়েলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও একজনসহ মোট ৩ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সোনার গয়নাগুলো আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।