সেই দরিদ্র মেধাবী ছাত্রী রেক্সোনার বাবা ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন

স্টাফ রিপোর্টার: সেই দরিদ্র মেধাবী ছাত্রী রেক্সোনার বাবা শুকুর আলী ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ডাক্তার জানিয়েছেন জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যেই চিকিৎসার জন্য পরিবারের শেষ সম্বল জমি বিক্রি করে দিয়েছে। এখন অপারেশনের জন্য দরকার প্রায় ৭ লাখ টাকা। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে তা বহন না করতে পারায় চোখে মুখে অনিশ্চয়তার ছাপ দেখা দিয়েছে আক্রান্ত শুকুর আলীর পরিবারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী রেক্সোনা খাতুন। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়ার শুকুর আলীর মেয়ে। তার বাবা দরিদ্র হলেও মেয়ের প্রবল ইচ্ছায় পড়াশোনা করাতে পিছুপা হয়নি। রেক্সোনা ২০১০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে তাক লাগিয়ে দেয়। তারপর ২০১২ সালেও এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে তার বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করে। তাকে নিয়ে মাথাভাঙ্গাতে সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হলে ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন চুয়াডাঙ্গা নেটওয়ার্ক ও এক প্রবাসীর সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হন। তিনি কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। গত ২৯ ডিসেম্বর তিনি বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষাও ইতোমধ্যেই দিয়েছে। রেক্সোনার জীবনযুদ্ধের জয়ী হওয়ার শেষের দিকে খবর সবকিছু যেনো এলোমেলো হয়ে গিয়েছে বাবার ব্রেইন টিউমারের খবরে। কারণ যে বাবার জন্য সে এতোটা অমসৃণ পথ সাবলীলভাবে পার করেছে সেই বাবা অসুস্থ। তাও আবার বিসিএস পরীক্ষার ভেতরে। ভাগ্যের কি নির্মম খেলা রেক্সোনা যখন তার পরিবারের অভাব ঘুচানোর জন্য অমসৃণ পথগুলো সাবলীলভাবে পার করেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে তার জন্য যেনো আকাশ ভাঙা খবর। কারণ রেক্সোনা তো ভালো চাকরি করে পরিবারের অভাব ঘুচিয়ে বাবার মায়ের মুখে হাসি দেখতে চায়। কিন্তু বাবা তো ইতোমধ্যেই অসুস্থ। রেক্সোনা চায় বাবার মুখে হাসি দেখে চাকরি জীবনের অনুপ্রেরণা নিতে ঠিক যেমনটি পড়াশোনা জীবনে পেয়েছিলো। কিন্তু না বাবা তো ব্রেইন টিউমারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছে। কিভাবে দেখবে বাবার মুখের হাসি? কারণ ইতোমধ্যে চিকিৎসার জন্য পরিবারের শেষ সম্বল জমি বিক্রি করে দিয়েছে। এখন অপারেশনের জন্য দরকার প্রায় ৭ লাখ টাকা। এতো টাকা কোথায় পাবে তার পরিবার। ডাক্তার জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে তার অপারেশন করা প্রয়োজন। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন রেক্সোনা। তিনি জানান ২০১৭ সালের ডিসেম্ব^রের ৫ তারিখ পরীক্ষায় ধরা পড়ে তিনি ব্রেনটিউমারে আক্রান্ত। তারপর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট নিউরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণেই বাবাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ব্রেইন টিউমারটি বড় হয়ে গিয়েছে। দ্রুত অপারেশন প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, আমি কৃষক পরিবারের মেয়ে। কিন্তু আমার বাবা আজ দিনকে দিন মৃত্যুর মুখে চলে যাচ্ছে। মেয়ে হিসেবে বাবার এই মৃত্যুযন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। এই রোগের চিকিৎসা আছে। কিন্তু আজ শুধু টাকার অভাবে সেই চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমি সমাজের বিত্তবানদের কাছে আহ্বান জানাই আমার বাবার জন্য আপনারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। আমি আমার বাবাকে সুস্থ দেখতে চাই। সাহায্যে পাঠানোর ঠিকানা বিকাশ- ০১৯৩১-২৪৪৬২৪, রকেট-০১৯৬১-৭২৪৬৩০০, ডাচ-বাংলা ব্যাংক -১৬৪.১০৫.২৫০২৪ (মিরপুর-১০)। বিস্তারিত যোগাযোগের জন্য ফোন নাম্বার-০১৫১৫-৬৯৫৮৬৬, ০১৫২১-৪৯৮৪৬১।