মেহেরপুর কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে যোগ দিয়েছেন সদর উপজেলা গোভীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সানজিদা ইসলাম লাবনী এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলে নিয়োগ পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক এনামুল হক। গতকাল রোববার তারা প্রতিষ্ঠানের কাজে যোগ দিয়েছেন। এদিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে বাদ সেধেছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) নার্গিস আরা। নার্গিস আরা সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আব্দুল গফুর মৃধার মেয়ে।
নার্গিস আরা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন, কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ অবৈধ। অভিযোগ লিপিতে তিনি বলেছেন, দৈনিক ভোরের পাতার গত ২৫ সেপ্টম্বর’১৭ তারিখের সংখ্যায় প্রকাশিত পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক পদে সরকারি নিয়োগ বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে তিনি আবেদন করেন। একই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আরও আবেদন করেন মুজিবনগর উপজেলা মহাজনপুর গ্রামের মসলেম ম-লের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মেহেরপুর শহরের বোসপাড়ার শহিদুল ইসলাম ও মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দীর মতিয়ার রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান। নার্গিস আরা দাবি করেন যাচাই-বাছাইয়ে তারা ৪জনই বৈধ হন এবং নিয়মানুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
অভিযোগ লিপিতে নার্গিস আরা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি সামসুজ্জোহা গোরা মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করে সমস্ত কিছু বানচাল করে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার নির্দেশ দেন। যেখানে নিয়োগ পরীক্ষায় তাকে ডাকা হয়নি। তিনি নিয়োগ বাতিলসহ সুবিবেচনার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের সভাপতি সামসুজ্জোহা গোরাকে গতকাল রোববার রাতে তার মোবাইল (সেলফোন-০১৭১৬-১৯০৫৫৮) এ কথা বলার বহু চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মেহেরপুর কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান, বিএড পরীক্ষার সার্টিফিকেটের ত্রুটির জন্য নার্গিস আরাকে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। যে কারণে পুনঃরায় স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। নিয়োগ কমিটির অন্যতম সদস্য মেহেরপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার জানান, তার (নার্গিস আরার) নিয়োগ সংক্রান্ত পূর্বের কিছু তার জানা নাই। তবে ৪ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ কমিটি তার বিএড সার্টিফিকেট বৈধ নয় নিশ্চিত হয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় তার প্রবেশপত্র ইস্যুর অনুমতি দেননি। প্রধান শিক্ষক পদে বাকি প্রার্থীদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা সরকারি বিধি মোতাবেক হয়েছে।