আলমডাঙ্গা জুগিরহুদা গ্রামের সেই চম্পারা কোথায় যাবেন

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার জুগিরহুদা গ্রামের সেই মা ও দুই মেয়ের ওপর মামা-মামিদের আক্রমণ থামেনি। তারা প্রতিবেশী এক চাচার বাড়িতে আশ্রিত থাকলেও আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। গতকাল পিতার ভিটায় নিজের টিনের ছাপড়ায় থাকা দু’মেয়ের স্কুলড্রেস নিয়ে আসতে গেলে চম্পা ফের মারধরের শিকার হয়েছেন। তারা এখন কোথায় যাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের জুগিরহুদা গ্রামের ফকির বিশ্বাসের মেয়ে চম্পা খাতুন। তিনি তিন কন্যা সন্তানের জননী। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বছর দুয়েক আগে তিনি দুই মেয়ে সুরভী আক্তার স্মৃতি ও সুবর্ণা আক্তারকে নিয়ে বাপের ভিটেয় আশ্রয় নেন। পরে স্বামী তাকে তালাক দেন। সেই থেকে চম্পা খাতুন টিনের ছোট্ট একটি ছাপড়া বানিয়ে বাপের বাড়িতে বসবাস করছেন দুই মেয়েকে নিয়ে। মেয়ে স্মৃতি এবার জেহালার সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ থেকে জেএসসি পাস করে। সুবর্ণা দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। চম্পা অভিযোগ করে বলেন, পিতার ভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে দুই ভাই ও দুই ভাবী উঠে পড়ে লেগেছে। গত ১ জানুয়ারি চম্পা ও চম্পার মেয়ে সুরভীর ওপর হামলা চালিয়ে বেপরোয়া মারধর করে তারা। চম্পা অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে দুই মেয়ের স্কুল ড্রেস আনতে বাড়িতে ঢুকেছিলাম। এ সময় রুবি ও মালা ফের মারধর করেছে। এছাড়া অ¯্রাব্য ভাষায় আপত্তিকর কথাবার্তা বলেছে। চম্পা জানান, তিনি তালাকপ্রাপ্ত। বাপের ভিটেয় দুই নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এখন তাদের অত্যাচারের ফলে প্রতিবেশী চাচা হেলালের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেখান থেকেও হয় তো সরে আসতে হবে। আমরা কোথায় যাবো? আমার দু’মেয়ের লেখাপড়ার কী হবে। চম্পা খাতুন বলেন, আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যাতে আমার ছোট্ট টিনের চালায় নির্বিঘেœ বসবাস করে আমার দুই মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে পারি।
প্রসঙ্গত, চম্পার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী গত ১ জানুয়ারি স্কুলে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে স্কুলড্রেস বের করতে যায়। এ সময় তার মামিরা বেপরোয়া মারধর করেন। পরদিন আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও থানায় অভিযোগ করেন চম্পা। পুলিশ আটক করেন অভিযুক্ত শাহীন ও রুবেলকে। তারা জামিনে বেরিয়ে পুনরায় চম্পার ওপর আক্রমণ শুরু করে।