ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) রিপোর্ট

কোটচাঁদপুরের মেধাবী ছাত্র টুলু হত্যার সাথে আসামিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের মেধাবী ছাত্র হাবিবুর রহমান টুলু আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতের নির্দেশে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের পর প্রমাণিত হলো ডাক্তারের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও থানায় দায়ের করা আত্মহত্যা মামলাটি সঠিক ছিলো না। আসামিদ্বারা প্রভাবিত হয়ে সংশ্লিষ্টরা হাবিবুর রহমান টুলু হত্যা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৭ সালের ১০ জুন তালসার গ্রামের সাব্দার আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান টুলুকে আসামি জাকির হোসেন, আসাদুল, নজরুল ইসলাম, আলামিন, মিল্টন, জমির, আমিরুদ্দীন ও জমির পরিকল্পিতভাবে টুলুকে হত্যা করে। হাবিবুর রহমান টুলু হত্যা মামলার আইনজীবী গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর থেকে নানাভাবে বাদীকে হয়রানী করে আসছে। মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাব দিয়ে মামলাটি মিমাংসা করতে না পেরে প্রধান আসামি জাকির হোসেন বাদী সাব্দার আলীর নামে ৫-৬টি মিথ্যা মামলা করেছেন। এখনও বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আসামিরা। এদিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টুলু হত্যার সাথে আসামিদের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় খুনিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা একের পর এক কাউন্টার মামলা সাজিয়ে হতদরিদ্র নিহত টুলুর পরিবারকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, হাবিবুর রহমান টুলু (১৪) কোটচাঁদপুরের তালসার কাজি লুৎফর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। একই স্কুলের ছাত্রী নজরুল ম-লের মেয়ে শাহানাজ ঘটনার ৩ দিন আগে অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে তারা স্কুলছাত্র টুলুকে সন্দেহ করতে থাকে। গত ১০ জুন রাতে প্রধান আসামি জাকির ম-ল ফোন করে টুলুকে তার সাথে দেখা করতে বলে। টুলু সরল মনে তার সাথে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ঘটনার দিন প্রতিবেশি আয়াত আলীর ছেলে সুমন, আজাদের ছেলে মহসিন, জমিরের ছেলে তুহিন ও জিয়াউর রহমানের ছেলে ইমরান তাল চুরি করে ঝোড়ের মধ্যে খাচ্ছিলো। তারা দেখে ৩জন মানুষ একটি মৃতপ্রায় লোককে ঘাড়ে করে নিয়ে যাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে তারা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে দৌঁড়ে বাড়ি চলে আসে এবং টুলুর লাশ পাওয়ার পর ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। এদিকে মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার আগেই আসামিরা বাড়ির মালামাল নিয়ে গাঢাকা দেয়। যা পরোক্ষভাবে প্রমাণ করে আসামিরাই টুলুর হত্যাকারী ছিলো। বাদী টুলুর পিতা সাব্দার ম-ল জানান, টুলু বাইরে যাওয়ার সময় তার কাছে নিজের শিক্ষা বৃত্তির ১৩শ’ ও জমি বিক্রির লক্ষাধিক টাকা ছিলো। সে টাকাও খুনিরা নিয়ে যায়।