২০১৯ বিশ্বকাপের পর পদত্যাগ করবেন বেলিস

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ২০১৯ এ্যাশেজ সিরিজের পর পদত্যাগ করবেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচ ট্রেভর বেলিস। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ ব্যবধানে এ্যাশেজ সিরিজ হারার পর গণমাধ্যমে দারুণ সমালোচনার মুখে আজ এ ঘোষণা দেন তিনি।বরখাস্ত হওয়া পিটার মুরসের জায়গায় ২০১৫ সালে নিয়োগ পাওয়া বেলিস বলেন, তার চার বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে কাউকে নিয়োগ দেয়ার সময় হবে।অস্ট্রেলিয়ান বিবিসি রেডিওকে ৫৫ বছর বয়সী বেলিস বলেন, ‘আমার চুক্তির মেয়াদ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং এরপরই আমি বিদায় নেবো।’‘আমি সবসময়ই বলে আসছি- একটা পরিবর্তনের জন্য যথার্থ সময় চার বছর। একটি নতুন কন্ঠ এবং ভিন্নধর্মী এ্যাপ্রোচ নতুন কিছু সৃষ্টি করে।’বিবিসির মতে বেলিস বলেছেন, ইংল্যান্ড ক্রিকেট ডিরেক্টর এন্ড্রু স্ট্রস চার বছরের পরিকল্পনা করে তাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তবে এখন কেবলমাত্র গণমাধ্যম সমালোচনা করছে। ২০১৯ এ্যাশেজ সিরিজের পর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। একই সময়ে অস্ট্রেলিয়া কোচ ড্যারেন লেহম্যানেরও সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মুরসের কাছ থেকে শ্রীলংকার সাবেক কোচ বেলিসের দায়িত্ব গ্রহণের পর ইংল্যান্ড দলের টেস্টের ফল মিশ্র। তারা ১৮ ম্যাচে হেরেছে, জয়ী হয়েছে ১৫ ম্যাচে। সিডনিতে এ্যাশেজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট পরাজয়ের পর বেলিসের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে বৃটিশ গণমাধ্যম। স্থানীয় ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকা তার ‘অবাধ নীতির’ জন্য অভিযুক্ত করেছে। পত্রিকাটির শিরোনাম ছিল, ‘ইংল্যান্ড কোচ ট্রেভর বেলিসের অবাধ নীতি এ্যাপ্রোচের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় বিপর্যয় নেমে এসেছে।’ ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকা লিখেছে, ‘ট্রেভর বেলিসের সঙ্গে কঠোর হতে পারলে ইংল্যান্ডের কিঞ্চিত উন্নতির সম্ভাবনা আছে।’ ইন্ডিপেন্ডেন্টের ভাষ্য, ‘ট্রেভর বেলিসের উদ্দেশ্য কি?’ বেলিসের অধীনে ২০১৫ সালে নিজ মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে এ্যাশেজ সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড। তবে প্রথমবার বাংলাদেশের কাছে ২০১৬ সালে টেস্টে পরাজিত হয়েছে ইংলিশরা। একই বছর ভারতের মাটিতে ৪-০তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ইংল্যান্ড।