গাংনীতে যুবলীগের কমিটি নিয়ে ধূম্রজাল

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে ধূ¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। জেলা যুবলীগ কর্তৃক গাংনী উপজেলা ও পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করলেও অনুমোদন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। অপরদিকে পূর্বের কমিটির নেতৃবৃন্দ নিজেদেরকে স্বপদে বহাল থাকার দাবি করে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্র কিংবা জেলা কমিটি থেকে কোনোপ্রকার চিঠিপত্র কিংবা দলিলাদী না দেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাহলে পূর্বের কমিটি বহাল নাকি আহ্বায়ক কমিটি বহাল? দীর্ঘদিন ধরেই ঝুলে আছে গাংনী উপজেলা ও পৌর যুবলীগের সম্মেলন। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও পৌর কমিটির সম্মেলন শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। এতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশসহ উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন স্বপদে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে মেহেরপুর টাউন হলে জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে গাংনী উপজেলা ও পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। ৪১ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক ওই দুটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়। উপজেলা কমিটিতে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ, নবীর উদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ ও বিপ্লব হোসেন। পৌর কমিটির আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম কাজল। যুগ্ম-আহ্বায়ক রয়েছেন আরও ৪জন। এদিকে কমিটি ঘোষণার একদিন পর ২৮ ডিসেম্বর পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেনের অফিসে তালা দেন। হাসপাতাল বাজারে সাবেক মেয়র আহম্মেদ আলীর ভাড়ার অফিস থেকেই চেয়ার টেবিল বের করে দেন। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। এদিকে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেনসহ ওই কমিটির নেতারা গত কয়েকদিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের সাথে তারা সাক্ষাত করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান আলহাজ উমর ফারুক চৌধুরীর (স্যারের) সাথে আমরা দেখা করেছি। তিনি গাংনী উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন দ্রুত সম্পন্ন করতে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সম্মেলন করার জন্য আমরা জেলা আহ্বায়কের সাথে যোগাযোগ করেছি। তিনি আমাদের বলেছেন, আমি ঢাকায় আছি। ঢাকা থেকে ফিরে আপনাকে ডেকে নেবো। আমরা কাউন্সিলর তালিকা চেয়ারম্যান স্যারকে দিয়েছি। আমি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলা যুবলীগের কমিটি বহাল রয়েছে। জেলা আহ্বায়ক কমিটি নির্বাচিত কোনো কমিটিকে বিলুপ্ত করতে পারেন না। কোনোপ্রকার বিভ্রান্তিতে না পড়ে উপজেলা যুবলীগের নেতৃত্বে সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মোশাররফ হোসেন। তবে আহ্বায়ক কমিটি ও সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চেয়ে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের সাথে গত দু’দিন কয়েকবার মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান বলেছেন, আমরা যে কমিটি দিয়েছি সেটাই বৈধ। আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে সম্মেলন হবে। আমি ঢাকা থেকে ফিরে আপনাদের (সাংবাদিকদের) আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদিত কাগজপত্র সরবরাহ করবো।