ঝিনাইদহে গতবছরে পুলিশী অভিযানে ২১ জঙ্গিসহ ১৪ হাজার গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহে গতবছরে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী ও নাশকতা-বিরোধী পুলিশের দফায় দফায় অভিযানে ১৪ হাজার ১৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সদর উপজেলার পোড়াহাটি, লেবুতলা ও মহেশপুর উপজেলার বজরাপুরে পুলিশ জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, বোমা, পিস্তল ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। বজরাপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জঙ্গি আব্দুল্লাহ ও তুহিন নিহত হয়। জেলা পুলিশের এক তথ্যে জানা যায়, জঙ্গি অভিযানকালে পুলিশ চারটি পিস্তল, ১৯ রাউন্ড গুলি, ৩৮টি হাতবোমা, তিনশ’ লিটার পেট্রোল ও ১০টি সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার করে।

গতবছরে পুলিশের জঙ্গি-বিরোধী অভিযানে ২১ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার হয়। মাদক-বিরোধী অভিযানে সাত হাজার ১৩৭ বোতল ফেন্সিডিল, ৪৭ কেজি ৪৩০ গ্রাম গাঁজা, ১৪ হাজার ৬৩৩ পিস ইয়াবা, ছয় হাজার ৩৮ লিটার দেশি মদ, ৩০ বোতল বিদেশি মদ ও কিছু পরিমাণ হেরোইন উদ্ধার করে। এ সংক্রান্ত ৬১০টি মাদকের মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতার হয় ৭৬৫জন মাদকব্যবসায়ী। গতবছরে এ জেলায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ১০টি বিদেশি পিস্তল, ১৪টি শাটার গান, দুটি পাইপগান, ৩৫ রাউন্ড গুলি ও ৩৫টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ১৫০টি দেশীয় অস্ত্র ও দুশ’টি ঢাল উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র আইনে জেলার ছয়টি থানায় ৪৭টি মামলা ও ৭৯ জন অস্ত্রধারী গ্রেফতার হয়েছে। ২০১৬ সালে জঙ্গি হামলায় পুরোহিত আনন্দ কুমার গাঙ্গুলী, সেবায়েত সেবানন্দ দাস বাবাজী, ধর্মান্তরিত খাজা সমিরউদ্দিন ও শিয়া মতাবলম্বী হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক নিহত হন। এ বছর আলোচিত এ চার হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে। জেলায় বর্তমানে চরমপন্থি গোপন দলগুলোর সশস্ত্র ক্যাডারদের আনা-গোনা নেই। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি দমনে পুলিশ সফল হয়েছে। সেইসাথে নাশকতার অভিযোগে বেশ সংখ্যক জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।