মহেশপুরে গত ১ সপ্তাহে স্কুলছাত্রীসহ ৩জন ধর্ষণের শিকার

১জন ডাক্তার আটক : ইউপি সদস্য পলাতক
মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুরে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। গত ১ সপ্তাহে স্কুলছাত্রী, গৃহবধূসহ ৩জন ধর্ষিত ১জন গ্রাম্য ডাক্তার আটক। ইউপি সদস্যসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে প্রকাশ, গত মঙ্গলবার মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের এক গৃহবধূকে চিকিৎসার অজুহাতে গ্রাম্য ডাক্তার তারেক পিতা লুৎফর রহমান জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গত বুধবার ভিকটিম বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ ডাক্তারকে আটক করে। এছাড়া গত বুধবার দিবাগত রাতে নেপা ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলাকে ফুঁসলিয়ে সেজিয়া গ্রামের তরিকুলের বাড়িতে নিয়ে এক মেম্বারসহ ৩জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে মহেশপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়। মামলার আসামিরা হলেন, সেজিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে ইউপি সদস্য আ.লীগ নেতা আব্দুল আলিম, ফজলু’র ছেলে যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তারের ছেলে যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন। আসামিরা পলাতক রয়েছে। গত বুধবার বেড়েরমাঠ গ্রামের ফতেপুর শামছুদ্দিন সর্দার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের মুজিবার রহমানের ছেলে গাজী মিয়া কর্তৃক ধর্ষণের স্বীকার হয়। পরেরদিন বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করতে আসার পথে স্থানীয় নেতারা সালিশ করার আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এ সুযোগে আসামি গাজী ঢাকায় পালিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানিয়েছেন, ভিকটিমের মা বিদেশে থাকায় গাজী ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ২জন ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ১জন আসামি আটক আছে বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।