প্রবাসীর বউ ভাগিয়ে নিয়ে আবারও সমালোচনায় গাংনীর স্বর্ণ ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দীন

গাংনী প্রতিনিধি: সিঙ্গাপুর প্রবাসীর স্ত্রীকে ঘিরে আবারও সমালোচনায় মেহেরপুর গাংনীর সালাহ উদ্দীন। পরকিয়া প্রেমের জেরে প্রবাসীর স্ত্রীকে তিনি বিয়ে করেছেন। বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পূর্বে স্বামীর বাড়িতে ডিভোর্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনায় গাংনী শহরে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গত দু’দিন ধরে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে সালাহ উদ্দীন আত্মগোপন করেছেন এমন খবরে গতকাল শনিবার সকালে তার দোকানে তালা লাগায় যুবলীগ নেতা।
গাংনী শহরের ভিটাপাড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে সালাহ উদ্দীন মেহেরপুর গাংনী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আলিফ জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী। জানা গেছে, সালাহ উদ্দীনের দোকানে কেনাকাটার সুবাদে পরিচয় হয় পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী আমিনের স্ত্রী লিপি ওরফে সোনিয়ার সাথে। একপর্যায়ে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লিপি-আমিন দম্পত্তির ৭ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে সালাহ উদ্দীনের সাথে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে লিপি। সম্প্রতি তারা দুজন অজানার উদ্দেশে পাড়ি দেয় এমন গুঞ্জন ওঠে। এর মধ্যেই ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তায় লিপির দেয়া ডিভোর্স পেপার পৌঁছায় স্বামীর বাড়িতে। এর মধ্যদিয়ে সন্দেহ ও আরও দানা বেধে ওঠে স্বামীর পরিবারে। সীমার শাশুড়ি বলেন, ছেলে বিদেশ থাকায় বউমা থাকে পিতার বাড়ি এলাঙ্গি গ্রামে। সেখান থেকেই সালাহ উদ্দীনের সাথে চলে গেছে বলে আমরা লোকজনের মুখে শুনেছি। ডিভোর্স পেপার দেখান তিনি। এদিকে সালাহ উদ্দীন ও লিপি’র বিয়ের বিষয়টি সামনে আসে গত বৃহস্পতিবার রাতে। লিপি তার কন্যাকে সাথে নিয়ে গাংনীতে আসেন। এসময় বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে দেনদরবার করে বিষয়টি মিমাংসায় গড়ায়। নানা জটিলতা কাটিয়ে সমাধান ছাড়াই ভোর হয়। সকালে সালাহ উদ্দীনের আলিফ জুয়েলার্সে তালা দেন উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তার কাছে টাকা পাবো। টাকা না দিয়ে পালিয়ে গেছে এমন খবর পেয়ে আমি তালা লাগিয়েছি। তবে সালাহ উদ্দীন পক্ষের লোকজনের দেনদরবারের কিছু পরে ১১টায় তালা খুলে দেন কালাম। এদিকে পরকিয়া প্রেম করে স্বামীর বিয়ের খবর শুনে প্রথম স্ত্রী অশান্তিতে রয়েছেন। তিনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সালাহ উদ্দীনের প্রথম স্ত্রীও ছিলেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে সে ওই নারীর সাথে বিয়ে করেন। দুই দুই বার প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। বাজারে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবখানেই এখন বিষয়টির মুখরোচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর এ ধরনের কর্মে অনেক ব্যবাসায়ীও বিব্রত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহ উদ্দীন বলেন, একটি মেয়েলি ঘটনার জেরে আমার ভগ্নিপতি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়েছিলেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে তিনি তালা খুলে দেন। তবে অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।