বিদেশি টুকরো

তুষারঝড়ে মৃত ১৭: মঙ্গলগ্রহের চেয়েও শীতল হবে আমেরিকা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কয়েক দশকের অভূতপূর্ব ঠাণ্ডায় ইতোমধ্যেই পুরু বরফের চাদরে ঢেকেছে আমেরিকার একাংশ। তুষারঝড়ে মারা গেছে ১৭ জন। এমন পরিস্থিতিতে সেই খানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। তার জেরে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস, বন্যায় দুর্গতি বাড়বে।  তাল মিলিয়ে পারাপতন। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্বের কোনো কোনো এলাকা মঙ্গল গ্রহের থেকেও বেশি শীতল হয়ে উঠবে।

গত কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কবলে আমেরিকার বিস্তীর্ণ অংশ। মেরু এলাকার শীতল বাতাস আমেরিকার উত্তরাংশের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নামিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চলছে তুষারপাত। তাপমাত্রার অধোগতি বজায় থাকবে চলতি সন্তাহে, এই পূর্বাভাস আগেই দেয়া হয়েছিলো। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক। এই ঝড়ের নাম দেয়া হয়েছে ‘বম্ব সাইক্লোন’। সাউথ ক্যারোলিনা থেকে মেইন, এই ১৩টি রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট হতে পারে বেশি। এর আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে গত বৃহস্পতিবার থেকে। জোরালো হাওয়া বইছে, সঙ্গে হচ্ছে তুষারপাত।  আবহাওয়া অফিস বলছে, ৩-৬ ইঞ্চি বরফ পড়তে পারে ফিলাডেলফিয়ায়, ৪-৮ ইঞ্চি নিউ ইয়র্কে।  সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হতে পারে বস্টনে, সেখানে এক ফুটের উপরে বরফপাতের সম্ভাবনা।

আটক ফিলিস্তিনিদের ফাঁসি দিতে ইসরাইলি সংসদে প্রস্তাব পাশ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের সংসদ শাহাদাত পিয়াসি ফিলিস্তিনিদেরকে ফাঁসির দণ্ড দেয়ার অনুমতি দিয়ে যে আইন পাস করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ইসরাইলের সংসদে গত বুধবার ৫২ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয় তবে ৪২ জন সদস্য প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অধিকৃত বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার পর ফিলিস্তিনিদের ইসরাইল-মার্কিন বিরোধী ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রচণ্ডভাবে বেড়ে গেছে এবং আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে।

এছাড়া, ইসরাইলি সংসদ গত মঙ্গলবার ঐক্যবদ্ধ বায়তুল মোকাদ্দাসের বিষয়েও আরেকটি প্রস্তাব পাশ করে। এই প্রস্তাব পাশের ফলে পুরো বায়তুল মোকাদ্দাসের ওপর ইসরাইলের কর্তৃত্ব বা দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষ যদি ইসরাইলের সঙ্গে আপস না করে তাহলে তাদেরকে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হবে।

কথা বলায় বরকনেকে গুলি করে হত্যা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে হত্যার ‘অনার কিলিংয়ের’ ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত তৈরি হলো পাকিস্তানে। এবার অনুমোদনহীন সম্পর্কের জন্য নয়, স্রেফ বিয়ের আগে কথা বলার জন্য গুলি করে হত্যা করা হয়েছে হবু বর ও কনেকে। গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঘোটকি এলাকার নায়ি ওয়াহি গ্রামের নাজিরন তার হবু বর শহীদের সঙ্গে কথা বলছিল, এ সময় নাজিরনের মামা তা দেখে ফেলে। মামা রাগের মাথায় তখনই তাদের ওপর গুলি চালায়।

পুলিশ জানায়, নাজিরন ও শহীদ দুজনে চাচাতো ভাইবোন ছিলো। কয়েক দিন পরই তাদের বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা। পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে (‘অনার কিলিং’) এই হত্যা করা হয়েছে। তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রাশিয়ায় জুতা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১০ বিদেশির প্রাণহানি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: রাশিয়ার একটি জুতো কারখানায় গত বৃহস্পতিবার অগ্নিকাণ্ডে সাত চীনা শ্রমিকসহ অন্তত দশজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন। সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাইবেরিয়ান নগরী নভোসিরিস্ক থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে চেরনোরেচেনস্কি গ্রামে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ওই আগুনের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা তাসকে প্রাথমিকভাবে দশজনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানায়। তবে হতাহতদের মধ্যে রাশিয়ার কোনো নাগরিক নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাসে দাঁড়িয়ে থেকে মারা গেলেন গর্ভবতী নারী

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অমানবিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক গর্ভবতী নারী। নাদিশাহ নামের ওই নারী ছিলেন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাড়ি ফেরার পথে বাসে উঠেন। কিন্তু বাসের কোনো সিট খালি না থাকায় দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে থাকেন। তার এ রকম অবস্থা দেখেও বাসের কেউ আসন ছেড়ে দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাকে। এভাবে কিছু দূর যাওয়ার পর চালক দ্রুত চালিয়ে টার্ন নিতে গেলে নাদিশাহ ভারসাম্য হারিয়ে বাস থেকে পড়ে যান। মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লাগে। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে মারা যান নাদিশাহ। তবে সৌভাগ্যবশত ডাক্তাররা তার শিশুসন্তানটিকে বাঁচাতে সক্ষম হন। শিশুটিকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের কেরালা রাজ্যে। এদিকে দুর্ঘটনার পর অনেকে সমালোচনায় সরব হয়েছেন- কেন একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর জন্য আসন ছেড়ে দেয়া হয়নি। কারণ, ভারতের মোটরযান আইন অনুযায়ী প্রতিটি বাসে অবশ্যই গর্ভবতী নারীর জন্য একটি আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। অনেকে বলছেন, মানুষের মানবিক গুণাবলী কত দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে এই দুর্ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।