জনরোষ : চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ির বহু অপকর্মের হোতা খালিদ জেলহাজতে

দামুড়হুদার ইব্রাহিমপুরস্থ মেহেরুন পার্কে তাণ্ডব চালিয়ে ম্যানেজারকে মারধর ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুরসহ লুটের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার ইব্রাহিমপুরস্থ মেহেরুন পার্কে তা-ব চালিয়ে ম্যানেজারকে মারধর, ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুরসহ টাকা লুটের ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ির বহুল আলোচিত বহু অপকর্মের হোতা পুলিশের উপর হামলা, চাঁদাবাজি, দাঙ্গা, মারামারি, বিস্ফোরকসহ ১৭টি মামলার আসামি খালিদকে (২৩) আটক শেষে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন জনগণ। পুলিশ এ তথ্য জানালেও পার্কের মধ্যে ইভটিজিং করার সময় উত্তেজিত জনগণ খালিদকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে এলাকাসূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় পার্কের ম্যানেজার বাদী হয়ে আটক খালিদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার খালিদকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় দামুড়হুদার ইব্রাহিমপুরস্থ মেহেরুন পার্কে ভাড়াটিয়া মাস্তান বাহিনী নিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ওই আলোচিত খালিদ।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের সাতগাড়ির বিশারত আলীর ছেলে খালিদ হাসান গত সোমবার বিকেলে দামুড়হুদার ইব্রাহিমপুরস্থ মেহেরুন নেছা পার্কে টিকেট না কেটে পার্কের ভেতরে ঢোকার সময় টিকেট বিক্রেতা মোখলেছুর রহমানের সাথে বাগবিত-া হয়। এরই একপর্যায়ে খালিদ মোবাইলফোনে তার সাঙ্গপাঙ্গদের পার্কে ডেকে নেয় এবং টিকেট বিক্রেতাকে মারধর করতে থাকে। এসময় পার্কের ম্যানেজার আব্দুর ওয়াহেদ তাকে ঠেকাতে আসলে ক্ষিপ্ত খালিদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ম্যানেজারকে এলোপাতাড়ি মারধর শেষে ক্যাশ কাউন্টারে ঢুকে ত্রাস সৃষ্টি করে ভাঙচুরসহ নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় পার্কের মধ্যে থাকা দর্শনার্থীরা ভয়ে পালিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকজন তাদেরকে প্রতিরোধ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে খালিদের সাথে থাকা সাঙ্গপাঙ্গরা পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনগণ খালিদকে ধরে গণধোলাই শেষে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি বলেছেন, আটককৃত খালিদ পার্কের ক্যাশ কাউন্টারে ঢুকে টাকা পয়সা লুটপাটসহ ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুর এবং ম্যানেজারকে মারধর করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে রেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খালিদকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। তার নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় পুলিশের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, দাঙ্গা, মারামারি বিস্ফোরকসহ ১৭টি মামলা আছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এ দিকে এলাকার একটি সূত্র বলেছে, চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ির বহুল আলোচিত বহু অপকর্মের হোতা খালিদ পার্কে এক মেয়ের সাথে রঙ্গলীলা করার সময় স্থানীয় জনগণ তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। অপর একটি সূত্র বলেছে, ছাত্রলীগের কলঙ্ক খালিদ ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় বহু অপকর্ম করলেও পুলিশ এতদিন তার টিকিটিও ছুঁতে পারেনি। তার নামে চুয়াডাঙ্গা শহর ছিলো তটস্থ। পার্কের মধ্যে ইভটিজিং করার সময় স্থানীয় জনগণ তাকে আটকে রাখে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।