শহর থেকে গ্রামে নয় এবার গ্রাম থেকে শহরে আসবে অ্যাম্বুলেন্স

চুয়াডাঙ্গা সদরের ৭টি ইউনিয়নে পল্লি অ্যাম্বুলেন্স সেবা উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার: গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদে সন্তান প্রসব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সদর উপজেলা প্রশাসন। মাতৃমৃত্যুর হার রোধ করতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াশীমুল বারী নিয়েছেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাসে বিরল ও প্রশংসার দাবিদার। তার বিশেষ উদ্যোগে জেলা সদরের ৭টি ইউনিয়নে পল্লি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা চত্বরে পল্লি অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। এসময় স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের হাতে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি তুলে দেন তিনি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মামুনউজ্জামান ও সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ কুমারসহ সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রকল্পের ১ ভাগের টাকা দিয়ে ওই সেবা চালু করা হবে। মূলত মাতৃমৃত্যুর হার কমানো ও গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদে সন্তান প্রসব নিশ্চিত করতে এ অ্যাম্বুলেন্স সেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এবার শহর থেকে গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স যাবে না বরং গ্রাম থেকেই শহরে অ্যাম্বুলেন্স আসবে। ব্যাটারি চালিত পরিবেশ বান্ধব পল্লি অ্যাম্বুলেন্স দেখতে অনেকটা ইজিবাইকের মতোই। সদর উপজেলার আলুকদিয়া, মোমিনপুর, শঙ্করচন্দ্র, পদ্মবিলা, কুতুবপুর, বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নে এ অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যাবে।