চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বেডে এক রোগী নামিয়ে অন্য রোগী তুলতে গেলে দানা বাঁধে উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের এক শিশু রোগীকে নামিয়ে অপর এক শিশু রোগীকে তোলা নিয়ে উত্তেজনা দানা বেঁধেছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রোগী তোলা ও নামানোর মধ্য দিয়ে একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের অসৌজন্যমূলক আচরনেরও বহির্প্রকাশ ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়ে বলেছেন, হাসপাতালে দুজন শিশু বিশেষজ্ঞ থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই চাপা রেষারেষি চলে আসছে। একজনের রোগী অন্যজন একটু বাঁকা দৃষ্টিতেই দেখেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু রোগী বিশেষজ্ঞ হিসেবে ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন ও ডা. আসাদুজ্জামান মালিক খোকন কর্মরত রয়েছেন। অথচ দুজনই ডেপুটেশনে। একজন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের এনেসথেসিয়া পদে অপরজন আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পদায়ন থাকলেও ডেপুটেশনে দুজনকেই সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেজ্ঞ হিসেবে কর্মরত রাখা হয়েছে। একই বিভাগে দুজন বিশেষজ্ঞ কর্মরত থাকায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যেও রয়েছে ভাগাভাগি। ভাগাভাগির বিষয়টি মাঝে মাঝে প্রকাশ পেলেও অভিভাবকদের তেমন কেউই কোনো অভিযোগ না করলেও গতকাল এক শিশু রোগীকে অতিরক্ত ৪নং শয্যা থেকে নামিয়ে নতুন রোগী তুলে দিতেই তা আর গোপন থাকেনি। অভিযোগকারীরা বলেছেন, ডা.খোকন যখন ৪ মাসের শিশু সায়েম ও তার মাকে শয্যা ছাড়তে বলেন এবং ফরিদুলের ৭ দিনের শিশুকে ওই শয্যায় দিতে বলেন তখনই উত্তেজনা দানা বাঁধে। দুজন চিকিৎসকের রেষারেষির বিষয়টিও অভিযোগ আকারে উত্থাপন করতে শুরু করেন।
এ বিষয়ে ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, এ ধরণের অভিযোগ সঠিক নয়। প্রয়োজনের তাগিদেই দুশিশু রোগীকে একটি শয্যায় পাশাপাশি রাখার জন্য বলেছিলাম।